• ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে পদত্যাগ করতে হলো টিউলিপকে

usbnews
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
অবশেষে পদত্যাগ করতে হলো  টিউলিপকে
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। টিউলিপ নিজেই এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানায়, টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন টিউলিপ। তবে পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেখানে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি।

পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ , ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বরাবর লিখিত পদত্যাগপত্রে টিউলিপ লিখেন,

ছবি কোলাজ: ইত্তেফাক

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, অবশেষে পদত্যাগ করেছেন বৃটেনের বহুল বিতর্কিত সিটি মিনিস্টার ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি বিরোধী দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বাংলাদেশে  শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও বোন শেখ রেহানার মেয়ে। শেখ হাসিনার পতনের পর টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কেলেঙ্কারির খবর বোমার মতো ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একজন আওয়ামী লীগ নেতা ও ডেভেলপার আবদুল মোতালিফের কাছ থেকে উপহার হিসেবে বৃটেনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তির নামে আরও একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন আইনজীবী মঈন গণি। প্রকারান্তরে সেই ফ্ল্যাটও টিউলিপকে উপহার দেয়া হয়েছে। কারণ, রূপন্তি ওই ফ্ল্যাট টিউলিপকে পরিবার সহ ব্যবহার করতে দিয়েছেন। এসব বিষয় গোপন করেছেন টিউলিপ।

 

শুধু তা-ই নয়, তিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নি হওয়ার পরও তার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা কখনো করেননি বলে দাবি করেন। কিন্তু তার ব্লগ ফাঁস করে দিয়েছে মিডিয়া। তাতে দেখা যায়, তিনি শেখ হাসিনার জয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন। তার প্রচারণায় ছিলেন তিনি। এর বাইরে রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা, টিউলিপ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রমুখ ৫০০ কোটি ডলার মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে আত্মস্মাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব অভিযোগে বাংলাদেশে দুদক তদন্ত করছে। তদন্ত চলছে বৃটেনে। কিন্তু অভিযোগ উঠার পর দীর্ঘ সময় তা অস্বীকার করে মন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত থাকেন টিউলিপ। তার পদত্যাগ দাবি করেন ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা, বিরোধী কনজার্ভেটিভ দলের কিছু এমপি। কিন্তু টিউলিপ তার খালা শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতা ধরে রাখেন। এ নিয়েও অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার হলেন টিউলিপের ক্ষমতার খুঁটি।

 

WhatsApp Image 2025-01-14 at 23.16.27_568907f2

 

 

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছিল ব্রিটিশ বিরোধীদলীয় প্রধানটিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে: ব্রিটিশ বিরোধীদলীয় প্রধান

 

টিউলিপ সিদ্দিক ও কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ
আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং ব্রিটেনের লেবার পার্টির অর্থ ও নগরবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ।

রোববার (১২ জানুয়ারি) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে কেমি ব্যাডেনোচ লিখেছেন, কেয়ার স্টারমার, টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।’

ব্যাডেনোচ বলেন, সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন। এখন বাংলাদেশ সরকারও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

সম্প্রতি কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের বিরোধী দলটি বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি (টিউলিপ) যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে এবং কেন। যদি তিনি তা না করেন তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না।

সম্প্রতি লন্ডনে সাত লাখ ইউরোর এক ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার কথা সামনে আসায় টিউলিপের পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়। দ্য মেইল অন সানডে এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিউলিপ দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে পান।

লেবার পার্টির একাধিক সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি নিশ্চিত হয়েছে যে, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার ফ্ল্যাটটি টিউলিপ সিদ্দিককে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক আবাসন ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালিফ। এরপর পর থেকে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা দাবি করছেন, টিউলিপ যদি তার কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা না দেন, তবে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

এদিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ও তার পরিবারের আরও চার সদস্য বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরো আত্মসাৎ করেছেন।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছায়ামন্ত্রী ম্যাট ভাইকার্স বলেন, সরকারের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য। তবে এটি আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যখন তিনি স্টারমারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী!

টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

টিউলিপ পদত্যাগ নিয়ে এর আগে স্কাই নিউজের খবর

শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও তার ঘনিষ্ঠ দু’জন ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার হিসেবে ফ্ল্যাট নেয়ার কারণে বৃটিশ অনেক এমপিই এখন টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করছেন। টিউলিপ অবশ্য তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে গর্ব করেছেন।

এমন অবস্থায় যদি টিউলিপ এখন পদত্যাগও করেন, তবু বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের যেটুকু ক্ষতি হওয়ার তা এরই মধ্যে হয়ে গেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক রব পাওয়েল। তিনি লিখেছেন, বেশির ভাগ রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির মধ্যে এমন একটি পয়েন্ট আছে, যার পরে পদত্যাগ আরও বেশি প্রশ্নের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। ফলে টিউলিপ সিদ্দিকের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একই রকম বিপদ প্রধানমন্ত্রীরও। যদি টিউলিপ এখন পদত্যাগ করেন, তাহলে অসংখ্য মানুষ বিস্মিত হবেন যে, এটা কেন আরও আগে হলো না। কেন ডাউনিং স্ট্রিট এই কাহিনীকে এতটা পথ আসতে দিল। এতে আরও ক্ষতি হবে।

বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম স্কাই নিউজে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রধান রাজনৈতিক প্রতিনিধি জন ক্রেইগ লিখেছেন, টিউলিপ বাংলাদেশে তার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও তার খালা শেখ হাসিনার থেকে দূরত্ব রক্ষার চেষ্টা করেছেন। দাবি করেছেন, তারা কখনোই রাজনীতি নিয়ে কথা বলেননি

  • কিন্তু স্কাই নিউজ উদঘাটন করেছে যে, নতুন সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক একটি ব্লগ লিখেছিলেন। তাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি রাজনৈতিকভাবে কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন তা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন এবং তাদের একসাথে ছবি প্রকাশ করেছেন। ২০০৮ সালের শেষের দিকে এবং ২০০৯ সালের শুরুর দিকে টিউলিপ সিদ্দিক তখন লেবার পার্টির একজন কর্মী। তখন লেখা পোস্টে তার খালা শেখ হাসিনার জাতীয় নির্বাচনে তার জন্য যে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং কিভাবে তার বিজয় উদযাপন করেছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন।

জন ক্রেইগ আরও লিখেছেন, আমাদের অনুসন্ধান দ্য টাইমসের নতুন রিপোর্টের সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে মিলে যাচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, কিভাবে এখন এসব অভিযোগের সঙ্গে লড়াইরত লেবার পার্টির এমপির উড়োজাহাজ ঢাকায় একটি প্রাসাদে পাওয়া গিয়েছিল, যা ছিল তার খালার দখলে। গত বছর জনঅভ্যুত্থানে তার পতন হয়েছে। এখন টিউলিপ তার খালা থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। বলছেন, রাজনীতি নিয়ে তারা কখনো কোনো কথা বলেননি। কিন্তু তিনি যেসব প্রোপার্টি উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে ক্রমবর্ধমান চাপে আছেন।

ওদিকে ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টারের চ্যান্সেলর প্যাট ম্যাকফ্যাডেন বলেছেন, এথিকস পর্যবেক্ষক বা ওয়াচডগের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবে লেবার পার্টি। রিপোর্ট পাওয়ার পরই টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ আছে, বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি হয় রাশিয়ার সঙ্গে। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার যোগাযোগ ও ওই চুক্তিতে টিউলিপ সিদ্দিক মধ্যস্থতা করেছিলেন।

  1. বৃটেনে দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও ওই চুক্তি থেকে টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ হাসিনা, তাদের পরিবারের সদস্যরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের একজন লন্ডন প্রবাসী ডেভেলপার আবদুল মোতালিফ একটি ফ্ল্যাট টিউলিপকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন। কিন্তু টিউলিপ তা গোপন করেছেন। অথচ ওই ফ্ল্যাটে তিনি বসবাস করেছেন। এছাড়া মঈন গণি নামে একজন আইনজীবীও টিউলিপের বোন আজমিন সিদ্দিক রূপন্তিকে একটি ফ্ল্যাট দেন উপহার হিসেবে। তাতেও বসবাস করেন টিউলিপ। সরকারি নথিতে একাধিকবার তিনি ঠিকানা হিসেবে ওই ফ্ল্যাটের ঠিকানা লিখেছেন। এসব নিয়ে তোলপাড় চলছে বৃটিশ রাজনীতিতে। এরপরই মিনিস্টারিয়েল স্ট্যান্ডার্ড বিষয়ক নিরপেক্ষ উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন টিউলিপ।

তার রিপোর্টের জন্য লেবার পার্টি অপেক্ষা করবে কিনা? এমন প্রশ্ন করা হলে ম্যাকফাডেন বলেন, টিউলিপ এই ব্যক্তির কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। তিনি একটি রিপোর্ট দেবেন। তাতে দেখা হবে টিউলিপ মন্ত্রিত্বের বিধি বা অন্য কোনো আইন লঙ্ঘন করেছেন কিনা। এটাই সঠিক পথ।ম্যাকফ্যাডেন বলেন, পর্যবেক্ষকের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সঠিক কাজ করেছেন টিউলিপ।

ওদিকে রোববার বৃটেনের বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী পিটার কিলিও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, যদি টিউলিপ দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে সরকারি দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে।