• ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে উত্তর গাজায় ফিরতে শুরু করেছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা

usbnews
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
অবশেষে উত্তর গাজায় ফিরতে শুরু করেছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

অবশেষে নিজ বাসভূমিতে ফিরতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি সোমবার সকাল থেকে উত্তর গাজার দিকে যাত্রা শুরু করেছে। ইসরাইলের হামলায় গত ১৫ মাসে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরের রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে নিজ এলাকার দিকে যাচ্ছেন তারা। আনন্দে অশ্রুশিক্ত গাজাবাসী একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে সমুদ্রের তীর ধরে বালুকাময় পথে বাড়ির পথে হেঁটে চলেছেন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী। তাদের গন্তব্য উপত্যকার উত্তরাঞ্চল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান।

এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপি’র কাছে বলেছেন, নেতজারিম চেকপয়েন্টের পশ্চিম অংশ দিয়ে আল রশিদ রোড ধরে গাজার মূল শহরের মধ্য দিয়ে উত্তর অংশে যাত্রা শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। শনিবারই নেতজারিম করিডোরের কাছে জড়ো হন তারা। ইসরাইলের অধিকৃত ভূমির ওই অংশ দিয়ে নিজ ভূমিতে ফিরতে অনুমতির আশায় সেখানে জড়ো হন ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু শনিবার ইসরাইলি সেনারা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং কিছু লোকের ওপর গুলি চালায়। এতে একজন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

শনিবারের জিম্মি মুক্তির তালিকায় আরবেল ইয়েহুদের নাম না থাকায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের আটকে দেয় ইসরাইল। তাদের অভিযোগ ছিল চুক্তি অনুযায়ী ইয়েহুদ নামের ওই নারীকে মুক্তি দেয়নি হামাস। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে যে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে করিডোর পার হতে অপেক্ষারত বেসামরিক নাগরিকদের ভিড়ের ওপর ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামাসও পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, উত্তর গাজা অভিমুখী ফিলিস্তিনিদের পথ রুদ্ধ করাও যুদ্ধবিরতির চুক্তির লঙ্ঘন।

মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানিয়েছে যে, আগামী বৃহস্পতিবার এবং পরের সপ্তাহের শনিবার মোট ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। যার মধ্যে ইসরাইলের ওই নারীকেও মুক্তি দেয়া হবে। মূলত ওই নারীর বিষয়ে হামাসের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল।