• ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্র জনতার বিপ্লব : গৌরবগাঁথা , গুলীবিদ্ধ ইয়ামিনকে সাঁজোয়া যান থেকে টেনে নিচে ফেলার নির্মম দৃশ্য

usbnews
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
ছাত্র জনতার বিপ্লব : গৌরবগাঁথা ,  গুলীবিদ্ধ ইয়ামিনকে সাঁজোয়া যান থেকে টেনে নিচে ফেলার নির্মম দৃশ্য
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

দৈনিক সংগ্রাম ,  দৈনিক সংগ্রাম ,০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  , জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় গুলীবিদ্ধ এক শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যান থেকে ছুঁড়ে ফেলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন রায়ট কারের (সাঁজোয়া যান) ওপর থেকে ছুঁড়ে ফেলা মানুষটি হয়তো তখনো বেঁচে ছিলো! তারপর আবার গুলী করা হয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে। আহা কি নির্মম সেই দৃশ্য! সে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য বুয়েট ও রংপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও পড়েননি। সেই মেধাবী শিক্ষার্থীর নাম ‘‘শহীদ শেখ আসহাবুল ইয়ামিন’’। শহীদ শেখ আসহাবুল ইয়ামিনের (২৪) স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে এনাম হাসপাতাল এলাকার আকাশ-বাতাস। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ইয়ামিনের পরিবার ও স্বজনরা। এ সময় তাদের আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার বাতাস। ইয়ামিনের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীকে এভাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রাণ দিতে হবে এটা মেনে নিতে পারছে না অনেকেই। ইয়ামিনের জন্ম ২০০১ সালের ১২ ডিসেম্বর। দুই ভাইবোনের মধ্যে ইয়ামিন ছোট। বড় বোন শেখ আসহাবুল জান্নাত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাবা মো. মহিউদ্দিন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে ব্যবসায়ী। ইয়ামিন ২০১৮ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অসাধারণ ফলাফল করে সুনাম অর্জন করেন। ইয়ামিন মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ( MIST) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ( CSE ) বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

image001

বর্বরতম উপায়ে ইয়ামিনকে হত্যা : শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: এমআইএসটি শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিনকে বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই ২০২৪ সাভারে যেভাবে বর্বরতম উপায়ে হত্যা করা হয় তা দেখে যে কোনো পাষণ্ডেরও হৃদয়ে আঘাত করবে। তবুও মন গলেনি পুলিশের, তখন মামলা নেয়নি পলিশ। শেখ হাসিনার পতনের পর তাকেসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন ইয়ামিনের মামা আবদুল্লাহ আল মুনকাদির রোকন। ২৫ আগস্ট ২০২৪ ঢাকার আদালতে মামলাটি করেন তিনি। এতে আসামী করা হয়েছে গুলীর নির্দেশদাতা তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক আইজিপি। মামলায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সেই সময়ে সাভারে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের আসামী করে আদালত এজাহার গ্রহণে নির্দেশ দেন সাভার থানাকে। বাদীপক্ষে মামলা আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান মারুফ ও সাকিল আহমাদ। এর আট দিন পর মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান।

মামলায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই ২০২৪ দুপুর দেড়টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে একদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে গুলীতে তার ভাগিনা ইয়ামিন নিহত হন। ঢাক জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহিল কাফিকে আটক করার খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ছাত্র আন্দোলনে সাভারে পুলিশের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়া শহীদ শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের বাবা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। গত সোমবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাফিকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এমআইএসটির শিক্ষার্থী শহীদ ইয়ামিনের বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আব্দুল্লাহিল কাফিকে আটক করার ঘটনায় আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’ তিনি কাফিকে ইয়ামিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর দাবি জানান।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আত্মরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ার দেড় ঘন্টা পর নিজেই শহীদ হন: বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই ২০২৪) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শেখ আসহাবুল ইয়ামিন পুলিশের রাবার বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে নিহত হন। নিহত হওয়ার মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে আসহাবুল কোটা সংস্কারের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। সেটি ছিল পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও স্টান গ্রেনেড থেকে আত্মরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে। ওই পোস্টের কিছুক্ষণ আগে আরেকটি পোস্ট দেন তিনি। সাভারে পাকিজার সামনে দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি যে স্থানটিতে নিহত হন সেখানে পুলিশ-ছাত্রলীগের অ্যাকশনের একটি ভিডিও চিত্র শেয়ার করেন। তারপর নিজেই সেখানে প্রাণ হারান।

নতুন প্রজন্মের কিংবদন্তী: বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই ২০২৪) দুপুরে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পুলিশের হামলায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অভিমুখে অগ্রসর হলে পাকিজা, রেডিও কলোনীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় লাঠিহাতে হেলমেট পরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও যোগ দেয় পুলিশের সঙ্গে। দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার বিপরীতে চলতে থাকে বৃষ্টির মতো পুলিশের রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা। ঘটনার দিনএই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন গুলীবিদ্ধসহ আহত হয় দেড় শতাধিক।

ইয়ামিনকে শুধু গুলী করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি হায়ে না বাহিনী, গুলীবিদ্ধ অবস্থায় তাকে রায়ট কারের ওপর থেকে টেনে হিচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। তখনো আমাদের ভাই বেঁচে ছিলেন। চিৎকার করছিল, কিন্তু কে বাঁচাতে যাবে এই মুহূর্তে? হায়ে না বাহিনীর দল তাকে রাস্তার একপাশ থেকে অপরপাশে ফেলে দেয়। আহ! কি নির্মম দৃশ্য। মানুষ হয়ে একজন মানুষের সাথে এতা নিকৃষ্ট আচরণ করতে পারে? বেলা পৌনে ৩টার দিকে ইয়ামিনকে সাভার এনাম মেডিকেল হাসপাতালে আনার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তার পকেটে থাকা এমআইএসটির পরিচয়পত্র পেয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ইয়ামিনের পরিবার ও স্বজনরা। এ সময় তাদের আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার বাতাস। মারা যাওয়ার পরেও তাকে দেয়া হয় নি যথাযথ সম্মান। বাবা-মা’র ইচ্ছে ছিলো গ্রামের বাড়িতে কবর দেয়ার। প্রশাসনিক চাপে তাও সম্ভব হয় নি। ইয়ামিন মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগে একটি পোস্ট দেন। সেখানে লেখা, ‘শুধু কোটা নয়; গোটা দেশটাই সংস্কার প্রয়োজন।

পিতামাতা ও বন্ধুদের অভিব্যক্তি: বাবা মহিউদ্দিন বলেন, আমার ছেলেকে কেউ রাজনৈতিক দলের দাবার ঘুঁটি বানাক, তা আমরা চাই না। আমার ছেলে রাজনীতিসচেতন ছিল। আমিও রাজনীতিসচেতন। তবে কোনো দল করি না। ছেলে বুয়েট ও রংপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও পড়েনি। ছোটবেলায় পড়েছে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে। পরে ভর্তি হয় এমআইএসটিতে। এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতেই রাজনীতি করার সুযোগ নেই।

তার এক বন্ধু বলেন, ইয়ামিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, আমি না পড়লে টেনে নিয়ে যাইতো ও সুন্নত পালনের জন্য রোজাও রাখতো ছাত্র অবস্থাতেই। ইয়ামিন সেদিন জোহরের নামাজ মসজিদে পড়ে ছাত্রদের বাঁচাতে যেয়ে নিজে গুলী খেয়ে শহীদ হয়।
প্লাটফর্ম এক্স স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব সাভার ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি ব্যাংকার ফাহিম দাদ খান রূপক ফেসবুকে শোক জানিয়ে লিখেছেন, ‘শেখ আসাবুল ইয়ামিন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সিএসসির শিক্ষার্থী ছিল। আমি জানি না কীভাবে এই মৃত্যুর ভার সইবে তার পরিবার ও স্বজনরা। এভাবে তার মৃত্যু সত্যিই অকল্পনীয়। ‘শেখ আসাবুল ইয়ামিনদের জন্মই কি এভাবে চলে যাওয়ার জন্য? আর কত মৃত্যু হলে থামবে এই তাণ্ডব’- সাঈখ আসাবুল ইয়ামিনের নিথর দেহের ছবি দিয়ে অনেকে এমন প্রশ্নই করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আপন সাথীরা তার ব্যাপারে কল্যাণের সাক্ষ্য দিচ্ছে। আল্লাহ তাকে মাফ করুন, জান্নাতবাসী করুন। আমিন। হৃদয়বিদারক ভিডিও

কি লেখা ছিল শহীদ হওয়ার আগে ফেইসবুক পোস্টে: ইয়ামিন মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগে একটি পোস্ট দেন। সেখানে লেখা, ‘শুধু কোটা নয়; গোটা দেশটাই সংস্কার প্রয়োজন। তার ঠিক আগের পোস্টে ইয়ামিন লেখেন, ‘আমি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (গওঝঞ)-তে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে হেনস্তা করে, হুমকি দেয় বা বহিষ্কার করে, সেক্ষেত্রে আমরা সম্মিলিতভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকারের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দিব। ইতোমধ্যে আমাদের হলে অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীদের ১৭ জুলাই দিনগত রাতে অন্যায়ভাবে হল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেছিল কর্তৃপক্ষ, যা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশাল বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একইসঙ্গে আমরা এখন থেকে এমআইএসটিতে সংঘটিত সব ধরনের অনুষ্ঠান, ক্লাব কার্যক্রম, খেলাধুলা ইত্যাদি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম Shykh Aash-Ha-Bul Yamin, লেভেল- ৪, গণনাযন্ত্র বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ MIST।’

সেই দিনের ঘটনা প্রত্যক্ষর্শীর বর্ণনায় জানাযায়, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই ২০২৪) দুপুরে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অভিমুখে অগ্রসর হলে পাকিজা, রেডিও কলোনীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় লাঠিহাতে হেলমেটপরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও যোগ দেয় পুলিশের সঙ্গে। দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার বিপরীতে চলতে থাকে বৃষ্টির মতো পুলিশের রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা। এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন গুলীবিদ্ধসহ আহত হয় দেড় শতাধিক। বেলা পৌনে ৩টার দিকে একে একে গুলীবিদ্ধদের নেয়া হয় সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে আহত শিক্ষার্থী, পথচারী ও উৎসক জনতার ভিড়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে দেখা যায় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের। এর পর পরই একটি অটোরিকশায় করে গুলীবিদ্ধ গুরুতর আহত ইয়ামিনকে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে আনার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তার পকেটে থাকা এমআইএসটির পরিচয়পত্র পেয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মিজারুল রেহান পাভেল ও ডা. হাসান মাহবুব ইয়ামিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অসংখ্য রাবার বুলেটে ঝাঁঝড়া হয়ে অধিক রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।