বাংলাদেশের মেয়েদের দলের ক্রিকেটার সোহেলী আক্তারকে ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। আজ এক বিবৃতি দিয়ে আইসিসি জানিয়েছে, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার ৫টি ধারা ভাঙার কারণে ৩৬ বছর বয়সী সোহেলীকে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে গেছে গতকাল অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।
২০২২ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের জার্সিতে সর্বশেষ খেলেছেন অফ স্পিনার অলরাউন্ডার সোহেলী। সব মিলিয়ে ২টি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা সোহেলী তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে আইসিসি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ২০২৩ টি-২০ বিশ্বকাপের সময় তৎকালীন জাতীয় দলের ক্রিকেটার লতা মণ্ডলকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু লতা ওই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তিনি আকসুকে বিষয়টি জানিয়ে দেন। ওই সময় সোহেলী সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি সতীর্থ লতাকে মজা করে মিথ্যা মিথ্যা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাত্র। যে কারণে নিজে ফেঁসে যাচ্ছেন।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার কোন কোন ধারা ভেঙেছেন সোহেলী? আইসিসি বিবৃতিতে জানিয়েছে, নীতিমালার ২.১.১ ধারা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাতানো), ২.১.৩ ধারা (ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিংয়ের উদ্দেশে ঘুষ নেওয়া), ২.১.৪ ধারা (অন্যদের প্ররোচিত করা), ২.৪.৪ ধারা (ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানো) ও ২.৪.৭ ধারা (আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের তদন্তে বাধা তৈরি করা)।
সোহেলীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২৩ মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ের। সে বিশ্বকাপের দলে সোহেলী ছিলেন না, তবে এক জুয়াড়ির মাধ্যমে প্রস্তাব পেয়ে দলে থাকা এক ক্রিকেটারকে তিনি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। দলে থাকা সেই ক্রিকেটার তাতে রাজি না হয়ে বিসিবিকে ব্যাপারটি জানিয়ে দেন।