• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ব্যাপক অভিযান : বহিষ্কারের ভয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য শিক্ষার্থীরা

usbnews
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ব্যাপক অভিযান :   বহিষ্কারের ভয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য শিক্ষার্থীরা
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সীমাহীন সম্ভাবনার দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সেখানে তাঁরা বিশ্বমানের শিক্ষা ও উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ খুঁজে পেয়েছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে অনেকের জন্য আমেরিকায় সেই স্বপ্ন এখন এক কঠিন পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন যে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা দলে দলে পার্টটাইম চাকরি ছাড়ছেন।

কোভিড-১৯ মহামারির পর শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধির ধারার এটি প্রথম বড় পতন। শিক্ষার্থীদের আরও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে সংকুচিত কর্মসংস্থানের বাজার। যুক্তরাষ্ট্র চাকরির বাজার এখন স্থানীয় কর্মীদের বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং নতুন অভিবাসন ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা প্রান্তিক অবস্থানে চলে যাচ্ছেন।
অনেক শিক্ষার্থী মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাঁর ‘স্থানীয়করণ’ নীতির কারণে নিয়োগকর্তাদের পক্ষে ভিসা স্পনসর করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিসা প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি, কর্মস্থলে কঠোর তদারকি এবং ওয়ার্ক পারমিটের অনিশ্চয়তায় অনেক শিক্ষার্থী তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বাড়তি তদারকির মুখে পড়ছেন। ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মকর্তারা তাঁদের কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের পরিচয়পত্র বা ওয়ার্ক পারমিট যাচাই করছেন, বিশেষ করে যাঁরা ‘অপশনাল প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের’ আওতায় কাজ করছেন।
অপশনাল প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের প্রথমে এক বছরের জন্য অনুমোদিত হয় এবং এর আওতায় শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করতে পারেন। এফ-১ ভিসাধারীদের শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু প্রবাসী শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য অনেক সময় এই সীমাবদ্ধতা লঙ্ঘন করেন।

অনেক শিক্ষার্থী এখন কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে তাঁদের চাকরি ছাড়ছেন; কারণ, তাঁদের মাথার ওপর সর্বদা নির্বাসনের আশঙ্কা ঝুলছে।