• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হ্যা না ভোটের ইতিহাস : “বাংলাদেশে হ্যা , না ও গণভোট”

Usbnews.
প্রকাশিত এপ্রিল ১, ২০২৫
হ্যা না ভোটের ইতিহাস :  “বাংলাদেশে  হ্যা , না  ও   গণভোট”
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আস্থা গণভোট কি অবৈধ ছিল ?
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের সামরিক শাসনের গণভোট কি অবৈধ ছিল ?
১৯৯১ বাংলাদেশের সাংবিধানিক গণভোট কি তাহলে অবৈধ ছিল ?

দেশে এখন পর্যন্ত মোট তিনবার গণভোট হয়েছে। ১৯৭৭ ও ৮৫ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে গণভোট হয়। এছাড়া, ১৯৯১ সালের গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি থেকে আবারও প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার প্রবর্তিত হয়।

প্রথম গণভোটে রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান এবং তার কর্মসূচিগুলোর ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা হয়। দ্বিতীয়বার ১৯৮৫ সালে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনও গণভোটে বৈধতা পায়।

এরপর আওয়ামী লীগ আমলে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোট বাতিল হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর ওই সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং গণভোট পুনর্বহাল করে রায় দেয় হাইকোর্ট।’

বর্তমান রাজনৈতিক দলের কেউ এসব গণভোট বা হ্যা না ভোটকে অবৈধ মনে করেন না এমনকি ঐসব গণভোট বা হ্যা না ভোটকে চ্যালেঞ্জ ও করেন না। তাহলে জাতির স্বার্থে আবারো গণভোট বা হ্যা না ভোটকে কেন রাজনৌতিক অঙ্গনে সহ্য করা হবে না বা দাবি উঠছে না সেইয়া এখন মুখ্য আলোচনার বিষয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আস্থা গণভোট, ১৯৭৭
বাংলাদেশের সাংবিধানিক গণভোট, ১৯৯১
বাংলাদেশের সামরিক শাসনের গণভোট, ১৯৮৫

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আস্থা গণভোট ১৯৭৭, বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় ৩০শে মে ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলাফল ছিল, ৯৮.৯% হ্যাঁ এবং মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল, ৮৮.১% । অবৈধ/খালি ভোট ০।
ভোটারদের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি কি রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) প্রতি এবং তার দ্বারা গৃহীত নীতি ও কার্যক্রমের প্রতি আস্থাশীল?

বাংলাদেশের সামরিক শাসনের গণভোট, ১৯৮৫
বাংলাদেশের সামরিক শাসনের গণভোট ১৯৮৫, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ২১শে মার্চ ১৯৮৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। যিনি ১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন কালে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন। গণভোটে ভোটারদের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি রাষ্ট্রপতি এরশাদের গৃহীত নীতি সমর্থন করেন এবং আপনি কি চান, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্ব পর্যন্ত তিনি তার প্রশাসন পরিচালনা করবেন?

ফলাফল ছিল ৯৪.৫% হ্যাঁ এবং মোট ৭২.২% ভোট সংগৃহীত হয়েছিল।

বাংলাদেশের সাংবিধানিক গণভোট, ১৯৯১

১৯৯১ বাংলাদেশের সাংবিধানিক গণভোট
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধন) বিল, ১৯৯১ -এ রাষ্ট্রপতির সম্মতি দেওয়া উচিত কি না?
১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে একটি সাংবিধানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ভোটারদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধন) বিল, ১৯৯১-এ রাষ্ট্রপতির সম্মতি দেওয়া উচিত কি না?”

সংশোধনীগুলি সংসদীয় সরকারের পুনঃপ্রবর্তনের দিকে পরিচালিত করবে, রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক রাষ্ট্রের প্রধান হবেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবেন নির্বাহী প্রধান। এটি উপ-রাষ্ট্রপতির পদটিও বিলুপ্ত করে এবং সংসদ কর্তৃক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে।

ফলাফলের পক্ষে ৮৩.৬% ভোট পড়েছে, ৩৫.২% ভোট বিপক্ষে পড়েছে।

সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন এবং গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে গণভোটের বিধান রয়েছে। এশিয়ায় গণভোট গুলো নিয়ে বিশেষণের দাবি রাখে।

অতীতের রাজনৈতিক বর্জুয়া প্রথা বিপুপ্ত করে জনগণের ক্ষমতায়ন কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণ জরুরি। কারণ ক্ষমতালোভী শ্রেণী কোন ক্রমেই চাইবে না রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা হোক।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ক্ষোবের শুতে জানা যায় – নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ধারা দুটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে, যেটি হচ্ছে গণতন্ত্র। ওই দুটিসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক,৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন আদালত।

বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৫৪টি ক্ষেত্রে সংযোজন, পরিমার্জন ও প্রতিস্থাপন আনা হয়েছিল। রায়ে আদালত বলেছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটা বাতিল করা হচ্ছে না। বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেন, সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।

রায়ে আদালত বলেন, গণভোটের বিধান বিলুপ্ত করা হয়, যেটি সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অংশ ছিল। এটি ১৯৯১ সালে দ্বাদশ সংশোধনীতে যুক্ত হয়। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের গণভোটের বিধান বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ৪৭ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় বাতিল ঘোষণা করা হলো। ফলে দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা হলো। হাইকোর্টের রায়ে ৭ক, ৭খ ও ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে। ৭ক অনুচ্ছেদে সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ এবং ৭খ সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য করার কথা বলা ছিল। আর ৪৪ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ বিষয়ে বলা আছে। ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বলছে, এ সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটিয়ে সংসদ আইনের দ্বারা অন্য কোনো আদালতকে তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ওইসব বা এর যেকোনো ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দান করতে পারবেন। এ অনুচ্ছেদটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে রায়ে।

কাতারের সাংবিধানিক গণভোট, ২০০৩

একটি নতুন সংবিধান অনুমোদনের জন্য গণভোট কাতারে ২৯ এপ্রিল ২০০৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান ৯৮% এর বেশি পক্ষে অপ্রতিরোধ্যভাবে অনুমোদিত হয় । গণভোটের সময় দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৭৯০,০০০ ছিল বলে অনুমান করা হয়েছিল মাত্র ৮৫,০০০ নিবন্ধিত ভোটার (কারণ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বিদেশী কর্মী )। ভোটার উপস্থিতি ছিল ৮৪.৩%।[১] গণভোটের অনুমোদনের সাথে, এটি একটি আইন প্রণয়ন সংস্থাও তৈরি করে যার দুই-তৃতীয়াংশ সর্বজনীন ভোটাধিকার দ্বারা নির্বাচিত হবে এবং এক তৃতীয়াংশ আমির দ্বারা নিযুক্ত হবে। নতুন সংবিধান অনুযায়ী, আইনসভার তিনটি ক্ষমতা থাকবে: জাতীয় বাজেট অনুমোদন করা (কিন্তু প্রস্তুত নয়); অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে মন্ত্রীদের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা; এবং প্রস্তাবিত আইনের খসড়া, আলোচনা এবং ভোট দিতে, যা শুধুমাত্র দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট এবং আমিরের অনুমোদনের মাধ্যমে আইনে পরিণত হয়।

No photo description available.
ফলাফল –
পছন্দ ভোট %
হ্যা ৬৯,৯৮৭ ৯৮.৩৯
না ১,১৪৫ ১.৬১
অবৈধ ভোট ২৭৪ –
সর্বমোট ৭১,৬৬৫ ১০০
সূত্র: IFES Election Guide ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ মে ২০২০ তারিখে।

মালদ্বীপের বিদ্রোহ গণভোট, ১৯৫৯
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৬৮
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৭৩
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৭৮
মালদ্বীপের সাংবিধানিক গণভোট, ১৯৫২
মালদ্বীপের সাংবিধানিক গণভোট, ১৯৫৩
মালদ্বীপের সাংবিধানিক গণভোট, ১৯৬৮
মালদ্বীপের সাংবিধানিক গণভোট, ২০০৭
মালদ্বীপের বিদ্রোহ গণভোট, ১৯৫৯

১৯৫৯ সালের মার্চ মাসে মালদ্বীপে বিচ্ছিন্ন সংযুক্ত সুভাদিভ প্রজাতন্ত্রকে জয় করার জন্য সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবটি ভোটারদের দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল।

২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ সালে মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি ইব্রাহিম নাসিরের প্রার্থীতার উপর একটি গণভোটের রূপ নেয় যাকে ৯৭% ভোটার সমর্থন করেছিলেন। ১১ নভেম্বর দেশটিকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়।

মার্চ মাসে একটি গণভোটের ফলে একটি বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ (৮১%) একটি প্রজাতন্ত্রের সাথে সালতানাত প্রতিস্থাপনের পক্ষে ভোট দেয়। ৯ সেপ্টেম্বর মজলিস রাষ্ট্রপতি প্রার্থীদের উপর একটি ভোট দেয় যেখানে নাসির ৩৫ ভোট এবং মুসা ফাতি একটি ভোট পান।

সংবিধান অনুযায়ী নাসিরের প্রার্থীতা নিয়ে পরবর্তীতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
ইব্রাহিম নাসির – ৯৭.১৬
বিপক্ষে – ২.৮৪

মালদ্বীপের সাংবিধানিক গণভোট, ১৯৫২
১৯৫২ সালের ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল মালদ্বীপে একটি সাংবিধানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নতুন সংবিধান দেশকে রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত করবে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সুলতান আবদুল মজিদ দিদির মৃত্যুর পর দেশটির সংসদ সদস্যরা মোহাম্মদ আমিন দিদিকে পরবর্তী সুলতান হিসেবে বেছে নেন। তবে তিনি বলেছিলেন যে “মালদ্বীপের জনগণের স্বার্থে আমি মুকুট এবং সিংহাসন গ্রহণ করব না”।

গণ মজলিস ১৩ এপ্রিল দেশের ভবিষ্যত শাসন কাঠামো নির্ধারণের জন্য আমিন দিদিকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিশন গঠনের জন্য ভোট দেয়। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ফামুলাদেইরি কালেগেফান, প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ জালালুদিন, মজলিস স্পিকার মালিম মুসা মাফাই কিলেগেফান, ডেপুটি ওয়াজিরুল-আউজম ইব্রাহিম মোহাম্মদ দিদি, কোলহুমাডুলু অ্যাটলের এমপি ইব্রাহিম শিহাব, গালোহুর এমপি বুচা হাসান কালিগেফান এবং ফাদিপল্লে অ্যাটলের প্রধান কানা কালিগেফান। [১] ১৬ এপ্রিল গণ মজলিস একটি প্রজাতন্ত্র গঠনের কমিশনের সিদ্ধান্তকে নিশ্চিত করে এবং পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে একটি নতুন সংবিধানের উপর গণভোট আয়োজন করে। যাইহোক গণভোট শুধুমাত্র মালেতে অনুষ্ঠিত হবে।

ফলাফল
১৮ এপ্রিল বিকাল ৪টায় গণভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। একটি বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষে ভোট দেয় এবং নতুন সংবিধান ১৯৫৩ সালের ১ জানুয়ারী কার্যকর হয়। একটি নির্বাচনে প্রায় ৯৬% ভোট পেয়ে জয়ী হয়ে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন দিদি।যাইহোক সে বছর ২১ আগস্ট তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। একই মাসে একটি গণভোটের পর দেশটি ৭ মার্চ ১৯৫৪ সালে মুহম্মদ ফরিদ দিদি সুলতান হিসেবে রাজতন্ত্রের মর্যাদায় ফিরে আসে

১৯৬৮ সালে এই বিষয়ে তৃতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয় যার ফলে দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। ২৮ জুলাই ১৯৭৮ সালে মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি মাউমুন আব্দুল গাইয়ুমের প্রার্থীতার উপর গণভোটের রূপ নেয় যিনি ৯২.৯৬% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

মিয়ানমারের সাংবিধানিক গণভোট, ২০০৮

ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে রাষ্ট্রীয় শান্তি ও উন্নয়ন পরিষদের একটি ঘোষণা অনুসারে ১০ মে (কিছু শহরে ২৪ মে ২০০৮) মিয়ানমারে একটি সাংবিধানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।সামরিক সরকারের মতে, মিয়ানমারের নতুন সংবিধান একটি “শৃঙ্খলা-উন্নতিশীল গণতন্ত্র” সৃষ্টি নিশ্চিত করবে। ২০১০ সালে বহুদলীয় নির্বাচন হয়। সাংবিধানিক গণভোট আইন প্রণয়ন করা হয় এবং গণভোটে কমিশন ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সেট আপ করা হয়।

মাইংইয়ান টাউনশিপ, মান্দালে ডিভিশনের সাতটি নির্বাচনী এলাকা: ৬৭% হ্যাঁ
মেখটিলা টাউনশিপ, মান্দালয় বিভাগ : ৬৭% হ্যাঁ
কাচিন রাজ্র পাঁচটি টাউনশিপ: ৬২% হ্যাঁ
শান রাজ্যের দুটি টাউনশিপ: ৬৭% সংখ্যা
ইয়েনানচাং টাউনশিপ, ম্যাগওয়ে বিভাগ ৫৩% হ্যাঁ

গণভোটে যে পরিবর্তনগুলি চাওয়া হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে: ১) সব সংসদীয় আসনের এক চতুর্থাংশ সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে; ২) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একচেটিয়াভাবে সামরিক নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে; এবং ৩) মায়ানমারের নাগরিক নন এমন কাউকে বিয়ে করলে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে বাধা দেওয়া হবে।
অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই বিধানটি বিরোধী নেত্রী অং সান সু চিকে রাষ্ট্রপতির জন্য অযোগ্য যদিও ব্রিটিশ স্বামী ১৯৯৯ সালে মারা যান।

সিকিমের রাজতন্ত্রের গণভোট, ১৯৭৫

সিকিম রাজ্যে রাজতন্ত্র বিলুপ্তির জন্য গণভোট ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ৯৭.৫৫% ভোটার দ্বারা অনুমোদিত হয় এবং এর ফলে দেশটি একটি ভারতীয় রাজ্যে পরিণত হয়।

পক্ষে – ৫৯,৬৩৭ – ৯৭.৫৫%
বিরুদ্ধে – ১,৪৯৬ , ২.৪৫ %
অবৈধ/খালি ভোট –
মোট ৬১,১৩৩ কিন্তু ১০০ %
নিবন্ধিত ভোটার/ভোটার ৯৭,০০০ ৬৩ %

May be an image of text

ফলাফল ঘোষণার পর, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী কাজী লেন্ডুপ দরজি গণভোটের ফলাফল ইন্দিরা গান্ধীর কাছে প্রেরণ করেন এবং তাকে “তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে” বলেন। যার জবাবে তিনি বলেছিলেন যে ভারত সরকার সংসদে একটি সাংবিধানিক সংশোধন করবে যা রাজ্যটিকে সাংবিধানিকভাবে ভারতের অংশ হতে দেবে।

ভারতীয় পার্লামেন্ট ১৯৭৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিকিমকে একটি রাজ্য হিসাবে সাংবিধানিক সংশোধনীতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ মে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ একটি সাংবিধানিক সংশোধনী অনুমোদন করেন যা সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্যে পরিণত করে এবং চোগিয়ালের পদ বিলুপ্ত করে।

Pittsburgh Post-Gazette, 16 May 1975

লেন্দুপ দর্জি কর্তৃক দেশটিকে বিক্রির পূর্বে পরিষদটি কিছু নির্বাচিত সদস্য এবং কিছু যারা চোগিয়াল দ্বারা মনোনীত হয়েছিল তাদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পরে বিন্যাসটি পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং চোগিয়ালদের নিয়োগগুলি বাদ দেওয়া হয়েছিল। একই সময়ে পরিষদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সিকিমের দেওয়ান (ভারত সরকার নিযুক্ত পদ) ছিলেন পরিষদের সভাপতি।

May be an image of map and text

New Straits Times, 9 September 1974

লেন্দুপ দর্জি কর্তৃক দেশটিকে বিক্রির পূর্বে সিকিম রাজ্য পরিষদ ছিল পূর্ববর্তী রাজ্য সিকিমের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা, যেটি ভারত ও চীনের মধ্যে হিমালয়ে অবস্থিত ছিল।

১৯৫৩ থেকে ১৯৭৪ এর মধ্যে পরিষদের জন্য ছয়টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার জন্য একটি গণভোটের পরে এবং ভারতীয় সংবিধানের ৩৬ তম সংশোধনী পাসের পরে রাজ্য পরিষদের সাথে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করা হয়েছিল। এবং সেই সময়ে এর সদস্যদেরকে ভারতের মধ্যে সিকিমের নতুন রাজ্যের আইনসভা হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল।

May be an image of text that says 'charges student who BIR Japanese diplonats and business- men Europe. oz. frst THE MIXED FRUIT FREE past the quiries into Hospital LYSINE NOODLES MAGGI possibi- built shov- chuldren Minutes later. member LANGIS INSTANT FREE SAMPLIN and Japan near the believe already uncovered VEGETABLE BEEF MUSHROOM FRENCH GIVES 25 OF 6oz. 21 ONLY 13종 cts. PER window. licemen ratified BULGARIAN $1.50 OFF FOR ANY Indis's Upper House Unsolved crimes FREE SAMPLIN constitutional Sıkkim cent serlous crimes police PARTY went approval CALL WELD Ho3 DINNERS BUFFE BIRTHDAYS TEA crime Govern- GAMBOLS million cases. SALAD BOWL Barey Appleby TUESDAY Fresh Onion Soup'