• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

১৯ জুলাই মিরপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ হাফেজ রাব্বির (১৪)

Usbnews.
প্রকাশিত এপ্রিল ১৪, ২০২৫
১৯ জুলাই মিরপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ হাফেজ রাব্বির (১৪)
নিউজটি শেয়ার করুনঃ
‘রাব্বির ইচ্ছা ছিল স্বনামধন্য হাফেজ হওয়া। সেই আশা আর পূরণ হয় নাই। আমার বাবার সব স্বপ্ন ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশের গুলিতে মুহূর্তেই শ্যাষ কইরা দিছে।’ কথাগুলো বলছিলেন ১৯ জুলাই মিরপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ হাফেজ রাব্বির (১৪) বাবা জুয়েল মাতব্বর। সোমবার সকালে গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে ২০ জুলাই ঢাকা মিরপুর সরকারি শিশু কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল। পরে আদালতে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্বিতীয় বার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এ জানাজায় কয়েক শ’ মানুষ অংশ নেয়।
May be an image of 1 person
শহীদ রাব্বির বাবা জুয়েল মাতব্বর জানান, রাব্বি ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে মিরপুর ১৩ এর ৯ নম্বর রোড এলাকায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছিল তার মিছিলে যায়। ওই মিছিল ঠেকাতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশ বাহিনী মিছিলের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে আমার কলিজার টুকরা হাফেজ রাব্বির পেটে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই রাব্বি মারা যায়। এর পর তড়িঘড়ি করে রাব্বিকে মিরপুর সরকারি শিশু গোরস্থানে দাফন করা হয়। তখন আমি যে বাড়িতে থাকতাম সে বাড়ির মালিক ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর। তাই ভয়ে আমরা কোনো কথা বলিনি।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া সরকারি কবরস্থানে কয়েকদিন পর আর কবরের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। তাই আদালতের নির্দেশে আমার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে দ্বিতীয়বার দাফন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান বলেন, রাব্বির লাশ ঢাকার মিরপুর থেকে উত্তোলন করার পরই আমাদের থানায় অবহিত করে। এর পর লাশ দাফন সম্পন্ন করা পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণে ছিলাম।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. নাসিম রেজা বলেন, দাপ্তরিক ভাবে না জানলেও আমরা বিষয়টি অবহিত ছিলাম।
– প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৫,দৈনিক আমারদেশ