খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতাল নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে ১১টি। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে হচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিস অ্যান্ড ইউরোলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অফথালমোলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক্স রিহ্যাবিলিটেশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ। এছাড়া রাজধানীর মহাখালীতে রয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজিস অব দ্য চেস্ট অ্যান্ড হসপিটাল ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটাল। তেজগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইএনটি এবং মাতুয়াইলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড অ্যান্ড মাদার। এছাড়া চট্টগ্রামে রয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিস। খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতাল নেই।
বাংলাদেশে ৩ টি হাসপাতাল নির্মাণ হবে চীনের বিনিয়োগে। যার মধ্যে একটি আবার ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট। বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে এই তিনটি আধুনিক হাসপাতাল উপহার দেবে চীন সরকার।
চীনের হাসপাতাল নির্মাণ করার খবর আসার পর থেকেই চারিদিকে আলোচনা শুরু হয় হাসপাতালগুলো কোথায় নির্মাণ হবে তা নিয়ে। এই হাসপাতাল ৩ টির মধ্যে একটি স্থাপিত হবে রাজধানী ঢাকাতে। আর বাকি দুইটির একটি চট্রগ্রাম আর একটি নীলফামারীতে। এর মধ্যে নীলফামারীতে হবে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল আর চট্টগ্রামে একটি জেনারেল হাসপাতাল। অপরদিকে ঢাকায় হবে একটি পুনর্বাসন হাসপাতাল।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বিষয়টি জানিয়েছেন। এদিকে নীলফামারীর ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালটি নির্মাণ হবে তিস্তা প্রকল্পের কাছে। এই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নীলফামারী মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি ১৬ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীন উপহার হিসেবে রংপুরে এই এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করছে। এটি তিস্তা প্রকল্প এলাকার নিকটে স্থাপন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এছাড়া চট্টগ্রামের দক্ষিণ কর্ণফুলীতে ৫০০ থেকে ৭০০ শয্যার একটি জেনারেল হাসপাতালের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। এছাড়া ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাইয়ে বিভিন্ন আহত-প্রতিবন্ধী রোগীদের পুনর্বাসনের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি রিহ্যাবিলেটেশন হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে চীন।
তবে ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলোর নির্মাণ নিয়ে এই তিন জেলার বাইরের অন্য জেলার বাসিন্দাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজ এলাকায় নির্মাণের দাবি জানানোর চিত্রও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের নীলফামারীতে নির্মাণ হতে যাওয়া ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি নিয়ে বেশি আলোচনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমজুড়ে। যেসব জেলায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে সেখানে এসব বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ হলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দ্রুত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এর মধ্যে গাইবান্ধা ও পঞ্চগড়ের বাসিন্দাদের দেখা গেছে নিজ জেলায় এই হাসপাতালটি নির্মাণের দাবি জানাতে।