• ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

২ শতাধিক সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তির রক্তে তৈরি শক্তিশালী এন্টিভেনম

Usbnews.
প্রকাশিত মে ৪, ২০২৫
২ শতাধিক সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তির রক্তে তৈরি শক্তিশালী এন্টিভেনম
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

নিজ শরীরে ইচ্ছে করে প্রায় দুই দশক ধরে প্রাণঘাতী ২ শতাধিক সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তির রক্ত বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিভেনম তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই ব্যক্তির নাম টিম ফ্রিড ।

মাম্বা, কোবরা, তাইপান ও ক্রেইটসহ বিশ্বের ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী কিছু সাপের একাধিক প্রজাতির ২০০টিরও বেশি কামড় সহ্য করেছেন টিম ফ্রিড। এছাড়াও, এসব সাপের বিষের ৭০০টিরও বেশি ইনজেকশন শরীরে পুশ করেছেন তিনি।

বিবিসি জানায়, প্রাণীর ওপর পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির রক্তে পাওয়া অ্যান্টিবডি বিশ্বজুড়ে সাপের বিস্তৃত প্রজাতির মারাত্মক বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর ফল দিয়েছে।

বর্তমানে প্রচলিত অ্যান্টিভেনম সাধারণত একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর। ফ্রিডের ১৮ বছরের এই দুঃসাহসিক যাত্রা ভবিষ্যতে সব ধরনের বিষাক্ত সাপের কামড়ের চিকিৎসায় একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখতে পারে।প্রথমে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে বিষাক্ত সাপ নড়াচড়ার সময় নিজেকে রক্ষার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন টিম ফ্রিড।

হাতে একটি জল কোবরা নিয়ে টিম ফ্রিড। ছবি : এপির সৌজন্যে

সাবেক এই ট্রাক মেকানিক জানান, প্রথমদিকে তিনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন, যখন পরপর দুটি কোবরার কামড় তাকে কোমায় পাঠিয়ে দেয়।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মরতে চাইনি। আমি একটি আঙুলও হারাতে চাইনি। আমি কাজ মিস করতে চাইনি।’

ফ্রিডের অনুপ্রেরণা ছিল গোটা বিশ্বের জন্য আরও ভালো থেরাপি তৈরি করা। তার ভাষ্যে, ‘এটি কেবল একটি জীবনধারায় পরিণত হয়েছে এবং আমি যতটা ধাক্কা দিতে পারি ততটা ধাক্কা দিতে থাকি এবং ধাক্কা দিতে থাকি- আমার থেকে আট হাজার মাইল দূরে যারা সাপের কামড়ে মারা যায় তাদের জন্য।’