• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

শামীম ওসমানের ২টি প্লট জব্দ ও ১২ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তিন সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Usbnews.
প্রকাশিত জুন ২২, ২০২৫
শামীম ওসমানের ২টি প্লট জব্দ ও ১২ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তিন সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তিন সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন, সাইফুজ্জামানের সন্তান তানায়েম জামান চৌধুরী, সাদাকাত জামান ও মেয়ে জেবা জামান।

অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।

 

আবেদনে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাত সদস্যের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশত্যাগ করতে পারেন মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলমান থাকায় নারায়ণগঞ্জের শামীম  ওসমানের নিজ নামে থাকা পূর্বাচল ও উত্তরার দুইটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান, ছেলে ইমতিনান ওসমান, মেয়ে লাবিবা জোহা অঙ্গনা, পুত্রবধূ ইরফানা আহমেদ রাশমী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ২৯ ব্যাংক হিসাবের ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপপরিচালক রেজাউল করিম জব্দ ও অবরুদ্ধ আবেদন করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পলাতক অবস্থায় স্থাবর সম্পদ বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উক্ত সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত বিধিমালা ২০১৯) এর বিধি- ১৮ মোতাবেক এবং মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ধারা-১৪ মোতাবেক ক্রোক এবং অবরুদ্ধকরণ করা প্রয়োজন।