• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

পালিয়ে যাওয়াই আওয়ামী লীগের চরিত্র, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তারা পালিয়ে গিয়েছিল : ড. আব্দুল মঈন খান

Usbnews.
প্রকাশিত জুলাই ৬, ২০২৫
পালিয়ে যাওয়াই আওয়ামী লীগের চরিত্র,  মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তারা পালিয়ে গিয়েছিল : ড. আব্দুল মঈন খান
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

পালিয়ে যাওয়াই আওয়ামী লীগের চরিত্র। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তারা পালিয়ে গিয়েছিল। বিগত ১৬ বছর দেশের জনগণের দুঃখ দুর্দশার কথা বুঝতে পারেনি বলেই আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনিস্টিউটের সেমিনার হলে আয়োজিত ‘শহিদ জিয়া ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই দেশের মানুষের ভেতর জাতীয়তাবাদ তৈরি করতে সফল হয়নি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদের ভেতরে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে একদলীয় শাসন বাংলাদেশে কায়েম করেছিল। সেখানে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন উৎখাত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি শাহীন রেজা ও সঞ্চালনা করেন কবি ড. শহিদ আজাদ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কবি আল মুজাহিদি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল মঈন খান আরো বলেন, এদেশে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, হাজং, মুরং, খাসিয়া, রাজবংশী, কোল, ভিল, মুন্ডা, কোচ, লুসাই এবং এরকম সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ টি উপজাতি রয়েছে। তাহলে আমরা এই দেশে বাস করে আমাদের জাতীয়তাবাদকে যদি বাঙালি জাতীয়তাবাদ বলি সেটা কেমন হবে? সেটা কি ঠিক হবে?

তিনি বলেন, সেজন্যই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার সমাধান দিয়েছিলেন অত্যন্ত চমৎকারভাবে, সুন্দরভাবে। তিনি (জিয়াউর রহমান) বলেছিলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ একটি পুষ্পমাল্যের মতো। যে পুষ্পমাল্যে বাঙালি একটি ফুল এবং সে ফুলটি হয়ত আকারে বড়, কিন্তু সেই পুষ্পমাল্যের মধ্যে আরো যে ফুলগুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে এই বিভিন্ন উপজাতি। তার সমাহারে যে জাতি সৃষ্টি হয়েছে এবং যে জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হয়েছে তার নাম তিনি করেছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।

জাতীয়তাবাদ নিয়ে আলোচনা করার সময় প্রধান আলোচক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, আমারা যতদিন না পর্যন্ত নিজেদের পরিচয় নিয়ে গর্ববোধ করতে পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে থাকবে। বাংলা ভাষার সাথে বাঙালি মুসলামানের যে সম্পর্ক তার মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই। আমরা জানি যে বাংলা ভাষা অতি সরল মধুর। কিন্তু এটাও যে কতটা তেজোদ্দীপ্ত হতে পারে তা আমরা বুঝতে পারি যখন প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনা কমান্ড দেখি। এটারও কিন্তু প্রবর্তক ছিলেন জিয়াউর রহমান।

এ সময় অতিথিরা ‘চেতনায় জাতীয়তাবাদ’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।