বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীকে আদালত অবমাননার অভিযোগে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার দিন পিছিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শুনানির নির্ধারিত দিন সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সকাল ৯টায় বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবী আপিল বিভাগে উপস্থিত হন। তবে এই মামলা শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির জন্য আগামী ২৯ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করে দেন আপিল বিভাগ।
পরে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি মহোদয়ের এখতিয়ার আছে যে কোনো আইনজীবীকে ডাকার। সেই এখতিয়ার বলে আমাদের ডেকেছেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আছি, ছিলাম এবং থাকব। যে কারণে আমরা আজ যথারীতি ৯টা মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়েছি। আগামী ধার্য তারিখেও উপস্থিত থাকব।
এর আগে, ১৫ নভেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যাখ্যা দিতে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীকে আজকের তারিখে (১৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগে তলব করেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছিলেন।
আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়।
যে সাত আইনজীবীকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
তবে আদালত অবমাননার অভিযোগে স্বেচ্ছায় পক্ষভুক্ত হতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মহসিন রশীদের আবেদন গ্রহণ করেননি আপিল বিভাগ।
সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যূথী।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ২৭ আগস্ট একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে দেওয়া বক্তব্যের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করেন। সে আবেদনের পর বিচারপতি এম এ মতিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-মিটিং না করা সংক্রান্ত রায়ের নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেন আপিল বিভাগ।