• ২রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

অস্ট্রেলিয়ায় : পাখি ডিম পাড়ায় এক মাসের জন্য স্টেডিয়াম বন্ধ কিন্তু হাজার হাজার উট মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ

Usbnews.
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ায় : পাখি ডিম পাড়ায় এক মাসের জন্য স্টেডিয়াম বন্ধ  কিন্তু  হাজার হাজার উট মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

অস্ট্রেলিয়ায় একটি খেলার মাঠ এক মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত প্রজাতির একটি দেশি পাখি সেই মাঠে ডিম পাড়ার কারণেই মূলত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ইয়াহু নিউজের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ক্যানবেরা থেকে ২০ মিনিট দূরত্বের জেরাবম্বেরা রিজিওনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ফুটবল খেলতে গিয়ে খেলোয়াড়েরা জানতে পারেন, মাঠের একদম মাঝখানে এক প্লোভার পাখি ডিম দিয়েছে। এর ফলে তাঁদের ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয় পাশের আরেকটি মাঠে।

ছোট নথজিরিয়া বা ছোট জিরিয়া নামে পরিচিত এই পাখির চোখ দুটো হলুদ বৃত্তে ঘেরা বলে এদের ইংরেজি নাম লিটল রিংড প্লোভার। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা থেকে তোলা

প্লোভার পাখি সাধারণত বাচ্চা ফোটানোর পর অত্যন্ত রক্ষণশীল এবং ভয়ানকভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার কারণে পরিচিত। এ সময় তারা ডানা ঝাপটে, তীব্র শব্দ করে এবং ঝাঁপিয়ে পড়ার মাধ্যমে বাসার কাছ থেকে অনধিকার প্রবেশকারীদের দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করে।

স্থানীয় কাউন্সিল ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়াকে জানায়, আঞ্চলিক স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কৃত্রিম ফুটবল মাঠে একটি প্লোভার ডিম দিয়েছে। যে কারণে স্থানীয় বন্য প্রাণী সংস্থা ওয়াইল্ডকেয়ারের পরামর্শে ক্লাব ম্যাচগুলো পাশের মাঠে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মাঠের মাঝে এভাবেই পড়ে ছিল পাখির ডিম

ছোট নথজিরিয়া বা ছোট জিরিয়া নামে পরিচিত এই পাখির চোখ দুটো হলুদ বৃত্তে ঘেরা বলে এদের ইংরেজি নাম লিটল রিংড প্লোভার।

জানা গেছে, পাখিসংক্রান্ত কারণে মাঠটি সর্বোচ্চ ২৮ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিল বলেছে, ‘আমাদের দেশি প্রজাতিগুলো রক্ষায় সক্রিয় হতে হবে। ডিম সরানো প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের আনতে হবে এবং অনুমতি নিতে হবে।’

অস্ট্রেলিয়ায় হাজার হাজার উট মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ

উটের মৃতদেহ গুরুত্বপূর্ণ পানির উৎসকে দূষিত করে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ

১০ হাজার উট মেরে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া ( ৮ জানুয়ারি ২০২০ ) – আগামী কয়েক দিনে ১০ হাজার জংলি উট মেরে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া। সংবাদ সংস্থা এএফপি এখবর নিশ্চিত করেছে।

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা ওই উটগুলোকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। এই কার্যক্রম বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী বিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, এই পশুগুলো বেশি পরিমাণ পানি পান করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকছে না। সম্প্রতি এই পশুগুলো পানির খোঁজে লোক বসতির কাছাকাছি চলে আসছে বলেও জানান তারা।

তীব্র খরায় কিছু কিছু শহর পানিশূন্য হয়ে পড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। একই কারণে ভয়াবহ দাবানলেরও মুখে পড়েছে দেশটি যা এর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়- দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আনাঙ্গু পিৎজানজাতজারা ইয়ানকুনিৎজাতজারা বা সংক্ষেপে এপিওয়াই এলাকায়- আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় ২৩০০ মানুষ বসবাস করে।

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ বিভাগ যা এই হত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে তারা বলছে যে, খরার কারণে “প্রাণী কল্যাণের ইস্যুটি ভয়াবহ” রূপ নিয়েছে। তৃষ্ণায় অনেক উট মারা গেছে এবং পানির খোঁজ করতে গিয়ে পদদলিত হয়েও মারা গেছে আরো বেশ কিছু উট।

“অনেক ক্ষেত্রে এসব পশুর মৃতদেহ গুরুত্বপূর্ণ পানির উৎসকে দূষিত করেছে,” এক মুখপাত্র বলেন।

১৮৪০ এর দশকে অস্ট্রেলিয়ায় সর্বপ্রথম উট আনা হয়। এর পরের ছয় দশকে ভারত থেতে ২০ হাজার উট আমদানি করা হয়।

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বন্য উট রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আনুমানিক ১০ লাখেরও বেশি উট দেশটির মরু এলাকায় রয়েছে।

উটকে আপদ হিসেবে গণ্য করা হয় কারণ এগুলো পানির উৎসকে দূষিত করে এবং খাবারের জন্য অনেক দূরে চরতে যাওয়ায় স্থানীয় উদ্ভিদও নষ্ট করে।

পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, ঐতিহ্যগতভাবেই স্থানীয়রা উট সংগ্রহ করে সেগুলো বিক্রি করে থাকে। তবে সম্প্রতি শুষ্ক পরিবেশের কারণে জড়ো হওয়া বিশালাকার উটের পাল সামাল দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।

আর এ কারণেই “পশু কল্যাণের শর্ত অনুসরণ করে ১০ হাজারের মতো উট মেরে ফেলা হবে,” এতে বলা হয়।

সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি বলেছে যে, মানব বসতি থেকে দূরে উটগুলো মারা হবে এবং সেগুলোর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হবে।