গত বৃহস্পতিবার জাকসুর ভোটগ্রহণ করা হয়। ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স নেওয়া হয় সিনেট হলে। সেখানে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে ভোট গণনা চলে।শুরুতে হল সংসদের ফল ঘোষণা করা হয়েছে । একে একে ২১টি হল সংসদের ফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ। জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।
কোন পদে কত প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী ৯ জন
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী ৮ জন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে প্রার্থী ৬ জন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রার্থী ১০ জন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আলী আহমেদ। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সামিন ইয়াসির।
আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন জিএমএম রায়হান কবীর। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আবরার শাহরিয়ার। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন রিপন মন্ডল (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)।
মীর মশাররফ হোসেন হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ জুবায়ের। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহরিয়ার নাজিম। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন আরাফাত হোসেন।
মওলানা ভাসানী হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল হাই স্বপন। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন হৃদয় পোদ্দার। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন রাকিব হাসান।
শহীদ সালাম–বরকত হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মারুফ হোসেন। জিএস হয়েছেন মাসুদ রানা, এজিএস আবরার আজিম ভুঁইয়া।
শহীদ রফিক-জব্বার হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদি হাসান। জিএস হয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন আরিফুল ইসলাম।
আলবেরুনী হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রিফাত আহমেদ শাকিল। জিএস হয়েছেন মুনতাসির বিল্লাহ খান। এজিএস সাদমান হাসান খান।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন বুবলী আহমেদ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস হয়েছে সুমাইয়া খানম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), এজিএস প্রার্থী নেই।
ফজিলতুন্নেসা হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ঐশী সরকার (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা তাবাসসুম। এজিএস প্রমা রাহা।
রোকেয়া হল : ভিপি পদে তাফমিম খানম ও জিএস পদে জয়লাভ করেছেন নাবিলা মাহজাবিন।
বেগম খালেদা জিয়া হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ফারহানা রহমান, জিএস হয়েছেন ফাতেমা তুজ–জোহরা। এজিএস রায়হানা সরকার।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন অমিত কুমার বণিক। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুল হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা আদনান ইসলাম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল: সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন সিফাত উল্লাহ।জিএস হয়েছেন মাহমুদুল হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন তারিক আহমেদ।
জাহানারা ইমাম হল : ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদা খাতুন (গণিত)। জিএস পদে জয়লাভ করেছেন রিজওয়ানা বুশরা (পাবলিক হেলথ)।
সুফিয়া কামাল হল : জান্নাতুল নাইম জেরিন ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন। জিএস পদে জয় পেয়েছেন রুবিনা জাহান।
তারামন বিবি হল : ভিপি পদে ফারজানা আক্তার ঊর্মি ও জিএস পদে প্রিয়াঙ্কা কর্মকার জয়লাভ করেছেন।
প্রীতিলতা হল: ভিপি পদে সুমাইয়া আক্তার ও জিএস পদে ইকফা রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
১০ নং (ছাত্র) হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ মিয়া। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।
১৩ নং (ছাত্রী) হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন নাহাদাতুন হাসানা। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মোহসিনা তুবা। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সাদিয়া মেহজাবিন।
১৫ নং (ছাত্রী) : হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন শারমীন খাতুন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস মেহনাজ মোহনা। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহানা আক্তার।
২১ নং (ছাত্র) হল : সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ইবনে শিহাব। জিএস হয়েছেন ওলিউল্লাহ মাহাদী। এজিএস হয়েছেন তুষার আহমেদ।
ছাত্রদের হল ও ভোটার সংখ্যা– আল বেরুনী হল ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হল ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হল ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হল ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হল ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হল ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হল ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হল ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হল ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হল ও ভোটার সংখ্যা– নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হল ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হল ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হল ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হল ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হল ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল ৫৭১ জন, রোকেয়া হল ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হল ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হল ৯৮৩ জন।
জাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে এবার ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে সহ সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচনে মোট ৮টি প্যানেল অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, বামপন্থি সংগঠন ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত প্যানেল ছিল। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে ২১টি ভোট কেন্দ্র এবং ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছিল।