• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের সহায়তা নিয়ে যা বললো রাশিয়া

Usbnews.
প্রকাশিত অক্টোবর ৭, ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের সহায়তা নিয়ে যা বললো রাশিয়া
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। আবার চীনও এই যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করছে এমনটাই দাবি পশ্চিমাদের। এবার এই ইস্যুতে পশ্চিমাদের জবাব দিয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের অভিযোগ, মস্কোকে গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে বেইজিং। আর সেই তথ্যেই নাকি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বাজিমাত করছে রাশিয়া।

এর আগে ইউক্রেনের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা ওলেহ আলেকসান্ড্রোভ দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইউক্রিনফোকে বলেন, টার্গেটের স্যাটেলাইট তথ্য রাশিয়াকে সরবরাহ করছে চীন। এ নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে পেসকভ বলেন, রাশিয়ার নিজেরই মহাকাশ সক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সক্ষমতাও রয়েছে রাশিয়ার।

ক্রেমলিনের ভাষায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে মিসাইল হামলা চালাতে চীন যে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছে কিয়েভে দাবির ভিত্তি নেই। যুদ্ধক্ষেত্রের পুরোটা কভার করার সক্ষমতা রয়েছে রাশিয়ার।

গত মাসে চীন সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কঠোর এক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধে যদি ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে না আসে তাহলে অস্ত্রের ভাষা ব্যবহার করেই এ যুদ্ধ শেষ করতে হবে।

রয়টার্সের খবরে তখন পুতিনের ভাষণ পুরোটা প্রচার করা হয়। তাতে তিনি বলেন, যদি স্বাভাবিক জ্ঞান থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধ করার সুযোগ রয়েছে। আর এটি না হলে তাহলে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে এককভাবে এই যুদ্ধ বন্ধ করবে মস্কো। গত ৩ সেপ্টেম্বর পুতিনের এ কথায় বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়।

বেইজিং সফরে চীনের সঙ্গে নতুন একটি গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চুক্তির করার পর পুতিন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইউরোপে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আন্তরিকতা দেখাচ্ছে তাতে তিনি টানেলের শেষ সীমান্তে একটি আলো দেখতে পাচ্ছেন। চীনে গিয়ে পুতিনের শক্ত ঘোষণার পর নানা গুঞ্জন ছড়ায়। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ তেল বিক্রিতে চীনের সহায়তার অভিযোগও পুরোনো।