• ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: জামায়াত আমির

Usbnews.
প্রকাশিত নভেম্বর ১১, ২০২৫
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: জামায়াত আমির
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত জামায়াতসহ ৮ দলের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে নারাজ তাদের জন্য ২৬ এ কোনো নির্বাচন নাই। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির পাটাতন তৈরি হবে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে। আর জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। যারা জুলাইয়ের চেতনার প্রতি সম্মান রাখতে পারছে না, তারা জাতীয় নির্বাচনে মানুষের মতকে সম্মান জানাবে কীভাবে?’

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। জুলাই সনদে জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের দাবি পূরণ না করতে পারছি, ততক্ষণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সবাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম মিয়া পরওয়ার বলেন, ‘সাংবিধানিক সংস্কারসমূহের আইনি ভিত্তি কেবলমাত্র গণভোটের মাধ্যমেই সম্ভব। অন্যথায় জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদানসহ পাঁচ দফা গণদাবিই আজকের এই জনসমাবেশের মূল উদ্দেশ্য।’

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই। তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধান সংশোধন করে গণভোটের ধারা বাতিল করেছিলেন শেখ হাসিনা। এখন যারা বলেন সংবিধানে গণভোট নেই, তারা কি তাহলে হাসিনার সুরে কথা বলেন না?’

তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচ বছর পরপর নির্বাচনের কথা সংবিধানে লেখা আছে। ২০২৪ এ যদি নির্বাচন হয়, তাহলে ২০২৬ সালে নির্বাচন হবে কোথায় লেখা আছে? সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে ২০২৯ সালে।’

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।