রাজধানীর অন্তত দশটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও ছয়টি বাস এবং একটি প্রাইভেটকারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও আতঙ্ক দেখা যায় অনেকের মাঝে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অন্তত দশটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও চার স্থানে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সকালে মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার সামনে ককটেল ছোড়া হয়। সকালে ধানমন্ডির দুটি স্থান ও মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এ ছাড়া রাত ১১টার দিকে এনসিপি কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয় এবং একটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
এরপর সন্ধ্যায় মৌচাক, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর-১০ ও খিলগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ছাড়া বাসে আগুন দেওয়া হয় বাড্ডা, শাহজাদপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ি, রায়েরবাগ এবং উত্তরা এলাকায়। একই সঙ্গে ১০০ ফিট রোড সংলগ্ন বসুন্ধরা গেট এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
আগামী বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যেই আজ এসব ঘটনা ঘটল।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বিশেষ কোনো দিন টার্গেট করে এসব অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।