• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

প্রথমবারের মতো আফ্রিকায় প্রয়োগ হচ্ছে ম্যালেরিয়ার আরটিএস,এস ভ্যাক্সিন

usbnews
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
প্রথমবারের মতো আফ্রিকায় প্রয়োগ হচ্ছে ম্যালেরিয়ার আরটিএস,এস ভ্যাক্সিন
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

প্রথমবারের মতো সোমবার থেকে আফ্রিকার দেশ ক্যামেরনে ম্যালেরিয়ার টীকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার জনস্বাস্থ্যের ইতিহাস বদলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই টীকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশ। এই মহাদেশেরই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান ম্যালেয়িরায়। ফলে সেখানে নতুন আশা জেগে উঠেছে এই টীকা প্রয়োগ শুরু হওয়ায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান।

এই টীকার নাম দেয়া হয়েছে ইংরেজিতে আরটিএস,এস ভ্যাক্সিন। প্রথমেই এর ৬ লাখ ৬২ হাজার ডোজ প্রয়োগ করা হবে পশ্চিম আফ্রিকার দেশে। এর আগে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ঘানা, কেনিয়া এবং মালাবিতে সফলভাবে এর ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। আফ্রিকায় ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে এই টীকার মাধ্যমে এটাই প্রথম লড়াই। ওই মহাদেশে মোট যে পরিমাণ মানুষ রোগে মারা যান তার মধ্যে এই ম্যালেরিয়ায় মারা যান শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ।

এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। তাদের বয়স ৫ বছরের নিচে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক যৌথ অনলাইন ব্রিফিংয়ে আফ্রিকা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেছেন, আফ্রিকার জনস্বাস্থ্যের ইতিহাস বদলে যাওয়ার একটি অধ্যায় শুধু আমরা প্রত্যক্ষ করছি এমন নয়। একই সঙ্গে তাতে সক্রিয় অংশ নিচ্ছি। এমন একটি দিনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা অপেক্ষায় আছি। আশার চেয়ে বেশি পাচ্ছি। এই টীকা দেয়ার ফলে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুহার কমে যাবে।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, টীকা দেয়ার সফলতা হলো জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। তাতে আস্থা বাড়বে। জনগণ তাদের বাচ্চাদের টীকার পুরো চারটি ডোজই দেবে। অন্য পদ্ধতির সঙ্গে এই টীকা অধিক কার্যকর হবে বলে জনগণ বুঝতে পেরেছে। অন্য পদ্ধতির মধ্যে আছে পতঙ্গনাশক মশারির নিচে ঘুমানো।

আবদুল আজিজ বলেন, আমাদের দরকার এ বিষয়ে ম্যাসেজ ছড়িয়ে দেয়া। যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। আস্থাকে ব্যবহার করতে হবে আমাদের। সাধারণ মানুষজনের খুব কাছাকাছি থাকেন এমন স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন আমাদের। তাদের মাধ্যমে ওইসব মানুষের কথা শুনতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রোগ প্রতিরোধ এবং টীকা বিভাগের পরিচালক কেট ও’ব্রায়েন বলেন, আরটিএস,এস-এর পরীক্ষামূলক ডাটার ওপর ভিত্তি করে বলা যায় এই টীকা হাজার হাজার মানুষের জীবন রক্ষা করবে। এই টীকা মস্কুইরিক্স নামেও পরিচিত।

এ বছর এই টীকা কর্মসূচিতে যোগ করার কথা রয়েছে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশকে। আশা করা হচ্ছে এতে ৬৬ লাখ শিশুকে এর আওতায় আনা যাবে। বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং সিয়েরা লিয়নে পাঠানো হবে এই টীকার সরবরাহ।