• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৪ হাজার অগ্নিকাণ্ড, এরপ আমরা বেমালুম ভুলে যাই

usbnews
প্রকাশিত মার্চ ২, ২০২৪
বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৪ হাজার অগ্নিকাণ্ড, এরপ আমরা বেমালুম ভুলে যাই
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

সম্পাদকীয়

জনগণের জীবন পুড়েই শেষ তার পর কিছুদিন। এরপ আমরা বেমালুম ভুলে যাই। অনিয়ম, দুর্নীতি, আর স্বার্থবাদী। মিডিয়াতে তখন অনেক সময় শোনা যায় দখলের মতো অভিযোগ।
তদন্ত হবে বিল্ডিং এর কাগজপত্র ঠিক নাই। ফায়ারের লাইন সমস্যা। অনুমোদন ছিল না। বিল্ডিং কোড মানে নাই। অলিতে গলিতে অসংখ্য বাড়ি ও কমার্শিয়াল বিল্ডিং আছে যেগুলোতে গাদা গাদা রেস্তোরাঁ থাকে। এদের অধিকাংশই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে।এগুলো কোনটাই নিছক দুর্ঘটনাজনিত কোন মৃত্যু নয়, এগুলো এক একটা হত্যাকান্ড। এখন তদন্ত কমিটি হবে, কার কি অবহেলা শুধু সেটাই জানা যাবে, কোন প্রতিকার পাওয়া কয়টি হয়েছিল সেটাও অজানা।

গত বছর সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আর এ বছর শুরু হতে না হতেই যোগ হলো আরও ৪৬ নাম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ডের উৎস বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো, বৈদ্যুতিক গোলযোগ, গ্যাসের লাইন ও চুলা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালে ২৪ হাজার ৭৪টি অগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে ৩৩০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ২০০৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজার ৬৮১টি আগুন দুর্ঘটনয় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৫৫২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।  আর্থিক ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছিল ২০১৫ সালে। ওই বছর সংঘটিত মোট ১৭ হাজার ৪৮৮টি আগুন লাগার ঘটনায় বাংলাদেশের মোট আর্থিক ক্ষতি হয় ৮৫০ কোটি টাকা।

২০২৩ সালের পরিসংখ্যানও খুব একটা ভাল হতে দেখা যাচ্ছেনা। গত তিন মাসের চিত্রেই তা বোঝা যাচ্ছে।  তবে শুধু বঙ্গবাজারের ঘটনাই যেন অতীতে যে কোন সময়ে ক্ষতির রেকর্ড ছাড়িয়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের মতে আনুমানিক প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে এই দুর্ঘটনায়।

ফায়ার সার্ভিসের জরিপে বলা হয়, রাজধানীর এক হাজার ৩০৫ শপিংমল ও মার্কেট আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ৬২২টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৬৭৮টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু এসব শপিংমলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মালিক বা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকিপূর্ণ এসব শপিংমল বা মার্কেট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার নোটিশ দিয়ে সতর্ক করলেও তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি।

 

রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট

কাপ্তান বাজার কমপ্লেক্স ভবন-২, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স আদর্শ ইউনিট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স গুলিম্তান ইউনিট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মহানগর, মহানগর বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, গুলশান শপিং সেন্টার, এম প্রেজ প্লাজা, জব্বার টাওয়ার, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ভূইয়া ম্যানশন, গুলশান ভবন মার্কেট, গুলশান-২ ডিএনসিসি কাঁচাবাজার মার্কেট, পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স, বিদিশা সুপার মার্কেট, সাবেরা টাওয়ার মার্কেট, বাইশ বর সুপার মার্কেট, ল্যান্ড মার্ক শপিং সেন্টার, বনানীর গোলাম কিবরিয়া ম্যানশন, বাংলাদেশ ইউএস মৈত্রী কমপ্লেক্স, বাড্ডার ফুজি ট্রেড সেন্টার, আবেদ আলী মার্কেট, আর এ এস প্লাজা, লুৎফুন টাওয়ার, রিজভ্যালী শপিং সেন্টার, হাকিম টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স, বসুন্ধরার ভাই ভাই সুপার মার্কেট, হাজী আ. লতিফ ম্যানশন, আমীর ড্রিম কমপ্লেক্স, ফরাজী টোলা কাঁচা বাজার, ভাটারার আব্দুল লতিফ মার্কেট, বারিধারার নতুন বাজার দোকান মালিক সমিতি মার্কেট, মহাখালীর জননী ভবন মার্কেট, শাহীন ম্যানশন, মহাখালী প্লাজা, জেবা টাওয়ার, কারওয়ান বাজারের শাহ আলী টাওয়ার, নিক্য পেপার অ্যান্ড স্টেশনারী, মগবাজারের বাটা বাজার, বেঙ্গল টাওয়ার, আড়ং প্লাজা, বিশাল সেন্টার শপিং মল, রাজ্জাক প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স, আহম্মেদ পরিবার মার্কেট, আলহাজ্ব শামছুদ্দিন ম্যানশন, সিরাজ ম্যানশন মার্কেট, তেজগাঁওয়ের- সেন্টার পয়েন্ট ও বে-এম্পোরিয়াল মার্কেট।

 

২০১০ সালের ৩ জুন রাতে পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদাম থেকে ছড়ানো আগুনে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। ঝুঁকি জেনেও কেউ ব্যবস্থা নেয় নি – প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। তারা লিখেছে, রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনটিতে যে আগুনের ঝুঁকি ছিল, তা জানত সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা। তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ভবন কর্তৃপক্ষও গায়ে মাখেনি। মানুষের মৃত্যুর পর বেরিয়ে এসেছে গাফিলতির চিত্র।

একটি প্রশ্ন দিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। লিখেছে – Who is to enforce fire safety? Fire service, Rajuk or city corp? অর্থাৎ অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে? ফায়ার সার্ভিস, রাজউক নাকি সিটি কর্পোরেশন?

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে প্রাণ হারান ৭১ জন।

একই বছরের ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জন প্রাণ হারান। এবার রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ বহুতল ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২৫ নভেম্বর, ২০২০ বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। লেখা ছিল –
২০১৬ সালের পর আবারও সাততলা বস্তিতেই ঘটেছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় মঙ্গলবার বিকালে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প (বিহারি পল্লী) এলাকার একটি বস্তিতেও ভয়ানক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এভাবেই ঘুরেফিরে বস্তিতেই ঘটছে ‘রহস্যময়’ অগ্নিকাণ্ড। বারবার এভাবে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও প্রকৃত কারণ বা রহস্য সবসময়ই থেকে যায় অজানা। ঘুরেফিরে কেন বস্তিতেই আগুন লাগে? এমন প্রশ্নেরও যৌক্তিক জবাব মিলছে না।

 

এপ্রিল ৫, ২০২৩, ১১:১০ পিএম

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ পথেই দেখা যায় ময়লার স্তুপ। চারিদিকে ছড়িয়েছে দুর্গন্ধ।ভবনের উপরে উঠার পর দেখা যায় প্রতিটি সিঁড়ি ফাটল ধরা। দ্বিতীয় তলার প্রতিটি দোকানের মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। কোনো ধরনের দুর্ঘটনায় বহির্গমন পথ নেই। তার ঠিক পাশের ভবন কামার পট্টিতে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মার্কেটের প্রতিটি গলিতে দেখা যায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মার্কেট সমিতি থেকে তাদের ইতিমধ্যেই সচেতন করেছেন এবং অগ্নিকাণ্ডের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিও তাদের ভবনে রয়েছে। রাজধানীর ১ হাজার ৩০৫ শপিংমল ও মার্কেট আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

 

রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট

কাপ্তান বাজার কমপ্লেক্স ভবন-২, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স আদর্শ ইউনিট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স গুলিম্তান ইউনিট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মহানগর, মহানগর বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, গুলশান শপিং সেন্টার, এম প্রেজ প্লাজা, জব্বার টাওয়ার, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ভূইয়া ম্যানশন, গুলশান ভবন মার্কেট, গুলশান-২ ডিএনসিসি কাঁচাবাজার মার্কেট, পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স, বিদিশা সুপার মার্কেট, সাবেরা টাওয়ার মার্কেট, বাইশ বর সুপার মার্কেট, ল্যান্ড মার্ক শপিং সেন্টার, বনানীর গোলাম কিবরিয়া ম্যানশন, বাংলাদেশ ইউএস মৈত্রী কমপ্লেক্স, বাড্ডার ফুজি ট্রেড সেন্টার, আবেদ আলী মার্কেট, আর এ এস প্লাজা, লুৎফুন টাওয়ার, রিজভ্যালী শপিং সেন্টার, হাকিম টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স, বসুন্ধরার ভাই ভাই সুপার মার্কেট, হাজী আ. লতিফ ম্যানশন, আমীর ড্রিম কমপ্লেক্স, ফরাজী টোলা কাঁচা বাজার, ভাটারার আব্দুল লতিফ মার্কেট, বারিধারার নতুন বাজার দোকান মালিক সমিতি মার্কেট, মহাখালীর জননী ভবন মার্কেট, শাহীন ম্যানশন, মহাখালী প্লাজা, জেবা টাওয়ার, কারওয়ান বাজারের শাহ আলী টাওয়ার, নিক্য পেপার অ্যান্ড স্টেশনারী, মগবাজারের বাটা বাজার, বেঙ্গল টাওয়ার, আড়ং প্লাজা, বিশাল সেন্টার শপিং মল, রাজ্জাক প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স, আহম্মেদ পরিবার মার্কেট, আলহাজ্ব শামছুদ্দিন ম্যানশন, সিরাজ ম্যানশন মার্কেট, তেজগাঁওয়ের- সেন্টার পয়েন্ট ও বে-এম্পোরিয়াল মার্কেট।

রাজধানীর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট

‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকায় রয়েছে- উত্তরার কেসি টাওয়ার, টপটেন শপিংমল, ১৩ নম্বর ফার্নিচার মার্কেট, উত্তরা বাজার সুপার মার্কেট, আকতার ফার্নিচার, এ কে টাওয়ার, ওয়েসটেস লিমিটেড, ওরিয়ন ফুটওয়ার, মি এন্ড মম, ফ্যাশন প্যারাডাইজ, তেজগাঁওয়ের আহমেদ মার্কেট, তোহা মিয়া মার্কেট, শেখ প্লাজা, মগবাজার প্লাজা, সাউদিয়া সুপার মার্কেট, রহমান ম্যানশন, আয়শা মঞ্জিল, হাজী মোতালেব মার্কেট,  গুলশান টাওয়ার, জব্বার টাওয়ার শপিংমল, পুলিশ প্লাজা, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, গুলশান-১ নম্বরে ডিএনসিসি মার্কেট, কাওরান বাজার ২ নম্বর সুপার মার্কেট, কাওরান বাজার কিচেন মার্কেট, কাওরান বাজার কামার পট্টি, হাসিনা মার্কেট, কাব্যকস সুপার মার্কেট, ব্র্যাক আড়ং, বনানী-বারিধারা-ডিএনসিসি বনানী সুপার মার্কেট, সাদ মুসা সিটি সেন্টার, মেহেদী মার্কেট, প্রগতি স্মরণীর হাজী জমির উদ্দিন সুপার মার্কেট, ফজিলা শপিং সেন্টার, ওয়ারীর মুক্ত বাংলা হকার্স মার্কেট, কাপ্তানবাজার কমপ্লেক্স ভবন-১, খন্দকার ইলেকট্রনিক মার্কেট, শাহাবাগের আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেট, নবাবপুরের- আ. রহিম মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার, মজনু হার্ডওয়ার মার্কেট, পল্টনের  বায়তুল মোকাররম মার্কেট, পলওয়েল সুপার মার্কেট, সিটি ভবন, জাহাঙ্গীর শপিং কমপ্লেক্স, রমনা ভবন মার্কেট, মাওলানা ভাষানী স্টেডিয়াম মার্কেট, ভলিবল মার্কেট, গুলিস্তানের-এনএক্স টাওয়ার, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট, ঢাকা ট্রেড সেন্টার দক্ষিণ, ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার পাতাল মার্কেট, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেট, ডন প্লাজা, নবাব প্লাজা, পীর ইয়ামেনী মার্কেট, বংশালের- জাকের সুপার মার্কেট, রোজলীন ভিসতা শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুরের মিরপুর টাওয়ার নার্শি মার্কেট, ডাসুরা টাওয়ার, সিটি ক্লাব মার্কেট, ইকবাল কমপ্লেক্স, চৌরঙ্গী মার্কেট, হাজী গণি মোল্লা মার্কেট, সৈকত প্লাজা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জামে মসজিদ কমপ্লেক্স।

২০২০ সালের ১১ মার্চ রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের ‌‘ট’ ব্লকের একটি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত ঘর পুড়ে যায়। আগুন নেভাতে সেখানে যেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটকে। এর আগে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ভাসানটেকের আবুলের বস্তি ও জাহাঙ্গীরের বস্তির প্রায় ১ হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে বস্তির বাসিন্দা নূরে আলমের তিন মাস বয়সি শিশুকন্যা ইয়াসমিন ও চুন্নু মিয়ার আড়াই বছরের ছেলে তন্ময় মারা যায়। এরপর ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর-৭ এলাকার আলোচিত চলন্তিকা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে শত শত ঘর পুড়ে যায়। এতে ওই সময় খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই নিতে হয়েছিল ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষকে।

২৫ নভেম্বর, ২০২০ বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ –
গত ১০ বছরে বনানীর এক কড়াইল বস্তি আগুনে পুড়েছে অন্তত ১৭ বার।

মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার খবর )
বেলা একটার দিকে ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায়। বেলা দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

৪ এপ্রিল ২০২৩ (বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার খবর )
বাংলাদেশে কাপড়ের অন্যতম প্রধান মার্কেট বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগার সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর সেটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, ২০১৯ সালের ২রা এপ্রিল বঙ্গবাজারের এই ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে। তখন ভবনে একটি ব্যানারও টাঙিয়ে দেয়া হয়েছিল। এর পর ১০ বার নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই ব্যবসা চলছিল বলে জানান তিনি।

এপ্রিল ৫, ২০২৩ (বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার খবর )

বঙ্গবাজারের এই ভয়াবহ আগুন ছাড়াও চলতি বছরেই ঢাকা শহরের সিদ্দিকবাজার ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা আলোড়ন ফেলে দেশজুড়ে। সর্বশেষ রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বঙ্গবাজারে থাকা কয়েক হাজার দোকান, ঈদ উপলক্ষে দোকানগুলোতে তোলা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার মালামাল পুরে ছাই হয়েছে ভয়াবহ এই আগুনে।সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে ৬ জনের মৃত্যু হয়। গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা যান ২৬ জন। বছরের মাত্র তিন মাসেই একের পর এক এসব আগুন- বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।