• ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের বিরুদ্ধে দেশের আপামর জনগণের ঘৃণা ও বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় পণ্য বর্জন: ১২ দলীয় জোট

usbnews
প্রকাশিত এপ্রিল ৩, ২০২৪
ভারতের বিরুদ্ধে দেশের আপামর জনগণের ঘৃণা ও বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় পণ্য বর্জন: ১২ দলীয় জোট
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, গুম, খুন ও প্রতিবেশী দেশের নীল নকশায় ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জবরদখলকারীও তাদের লুটেরা সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন বাড়ছে। আর সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।

ভারতের সহায়তায় গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে এক অদ্ভুত নাটক মঞ্চায়িত করেছে ডামি সরকার। ভারত একটি গণবিরোধী দখলদার শক্তিকে বার বার মদদ যোগাচ্ছে। ফলে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে।অপর দিকে সীমান্তে বাংলাদেশীদের বিএসএফ পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে প্রতিনিয়ত।
এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সর্বত্রই এখন “ইন্ডিয়া আউট ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে।

প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে আওয়ামী লীগ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দেশবাসীর নিকট এটি প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অপর নাম সিন্ডিকেট আর লুটপাট। কোনো কিছু সামাল দিতে না পেরে সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

এমতাবস্থায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। একইসঙ্গে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সহ নিত্যপণ্যের বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান ১২ দলের শীর্ষ নেতারা।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বরিশাল মহানগরীর চকবাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় “ভারতীয় পণ্য বর্জন ও আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান” শীর্ষক লিফলেট বিতরণকালে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। এসময় তারা মার্কেটের দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন। লিফলেটে বলা হয়েছে- আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ভোট চুরির মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে আসছে। তারা লুটপাট করতেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে না বলুন। একইসঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়।
দেশী পণ্য কিনে হই ধন্য। আমাদের শিল্প কলকারখানা ও কৃষক বাঁচান এবং দেশ রক্ষার আন্দোলনে সবাই এগিয়ে আসুন। আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দেশটা সবার আগে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের সর্বনাশ করে ভারতকে সুবিধা দেয়া কোনদিন রাজনীতি হতে পারে না। জম্মু কাশ্মীর কিংবা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের অবস্থা দেখে আমাদের প্রতিটা দেশপ্রেমিক মানুষকে সময় থাকতে সতর্ক হতে হবে। আমরা বিএনপি আওয়ামী লীগ,,জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত, হেফাজত বুঝি না, আমার ধ্যান জ্ঞান ও প্রেম ভালবাসার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আমার অহংকার।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু,জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, সারোয়ার আলম সহ ১২ দলী জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।