এখন ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পও হয়, তাহলে ঢাকায় কমপক্ষে ৮ লাখ ৬৪ হাজার ভবন ধসে পড়বে, যা ঢাকার মোট ভবনের ৪০ শতাংশ।‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট: রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলতি জুন মাসে শেষ হচ্ছে।গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় ২১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৯টি ভবন রয়েছে।
সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী। তিনি রাজউকের ‘আরবান রেজিলিয়েন্স’ প্রকল্পেরও পরিচালক। তাঁর গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, মধুপুর ও সিলেট ফাটল রেখায় ভূমিকম্প হলে ঢাকা ঝুঁকিতে পড়বে। তবে সিলেটের চেয়ে মধুপুর ফাটল রেখায় ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে। এর মধ্যে মধুপুর ফাটল রেখায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৪০ থেকে ৬৪ শতাংশ ভবন ধসে পড়বে। রাস্তাঘাট, সেতু, বিদ্যুৎ–লাইনসহ সব ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষতি হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিমিরো মেগুরো প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী। তিনি বলেন, ১২৫ থেকে ১৭৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। সেই হিসাবে বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হওয়ার সময় এসেছে। প্রতি মাসেই কয়েকটি মৃদু আকারের ভূমিকম্প হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।