• ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন কারণ জানা যায়নি

usbnews
প্রকাশিত জুন ৬, ২০২৪
নিউইয়র্কে  বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ১৫ দিন  পেরিয়ে গেলেও কোন কারণ জানা যায়নি
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

নিউইয়র্ক সিটির সাউথ জ্যামাইকাতে   বাংলাদেশি পিএইচডির ছাত্র মো. মাজিদুল হক ভূঁইয়ার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২১ মে ভোরে জ্যামাইকায় তার ভাড়া করা বাসায় এ ঘটনা ঘটে। লাশ দাফন করা হয়েছে নিউজার্সিতে। তার মৃত্যুটি  স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি হত্যাকাণ্ড, নাকি আত্মহত্যা- এ নিয়ে নানা রহস্য দেখা দিয়েছে। বাসাটি পুলিশ তদন্তের স্বার্থে সিল করে দিয়েছে। ১৫ দিন এখনো গেলেও কোন কারণ জানা যায়নি , কোনো সুরাহা হয়নি ।

এক বাংলাদেশীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়ে। অজ্ঞাত কারণে নিহত বাংলাদেশীর নাম মাজিদুল ভুইয়া। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। মুত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ৬ বছরের এক শিশু রেখে গেছেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।

জানা যায়, সিটি পুলিশ তার সাউথ জ্যামাইকার বাড়ী থেকে মাজিদুল ভুইয়ার মনরদেহ উদ্ধার করে।  নিহত মাজিদুলের বাড়ী ঢাকার আরামবাগে বলে জানা গেছে।

ঘটনার আগে একজন ব্যক্তি মাজিদুলের বাসায় প্রবেশ করেছিলেন এবং এক ঘণ্টা ছিলেন। এরপর বেরিয়ে গেছেন। কে সেই ব্যক্তি? কী সম্পর্ক তার সঙ্গে? সব মিলিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেবে। পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার পর তার মৃত্যুর আসল কারণ বের হয়ে আসবে বলে সবাই ধারণা করছেন।

মো. মাজিদুল হকের বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। তিনি বাংলাদেশ থেকে ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। এখানে মিজোরিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন স্ত্রী কামরুন নাহার রাখী ও তাদের ছয় বছরের সন্তানকে। তারা মিজোরিতেই থাকতেন। ৩১ মার্চ সামারের ছুটিতে  নিউইয়র্কে আসেন ।

ঘটনার দিন তার স্ত্রী ও সন্তান বাসায় ছিলেন না। গিয়েছিলেন সানিসাইডে স্ত্রীর এক  বান্ধবীর বাসায় ।যখন সামারের ছুটি হয়, সেই সময়  নিউইয়র্কে তারা আসেন বলে পরিবারিক সূত্রে বলা হয়েছে । একটি বাসা ভাড়া নিই। সামারের ছুটি শেষে আবার মিজোরিতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের । পুলিশ ওই ভিডিও দেখিয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কিন্তু সেই অজ্ঞাত লোকককে চিনেন নাই।

বিষয়টি নিয়ে ইউএসবি নিউজ তদন্তকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করলে জানানো হয় , বিষয়টি এখনো তদন্তের প্রক্রিয়াতে আছে , পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।