পেটের চর্বি নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এর জন্য প্রধানত দায়ী অনিয়মিত আর অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়মিত ঘুম, শরীরচর্চার অভাব – তথা অস্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল ও খাবার। তাই পেটের বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য লাইফ স্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা করুরী। সেই সাথে পান করতে পারেন কিছু উপকারী পানীয়। যেগুলো পান করলে পেটের চর্বি কমানোর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হয়
১. পালং শাকের জুস
পালং শাকের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কম ক্যালোরি ও প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ এই শাক আপনার মেদ কমানোর অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। এই শাকের প্রচুর আয়রনও থাকে। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়। পালং শাকের জুস তৈরি করে খেলে তা আপনাকে পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
২. শসা ও মাল্টার জুস
শসায় ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে এবং মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই দুই উপকরণ একসঙ্গে জুস করে খেলে তা আপনাকে একগুঁয়ে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিও দেবে। তাই পেটের মেদ কমাতে এই জুস তৈরি করে খেতে পারেন।
লাউয়ের জুস
লাউয়ে উচ্চ ফাইবার এবং কম ক্যালোরি থাকায় এটি পেটের চর্বি কমানোর জন্য আদর্শ একটি খাবার। লাউয়ের জুস তৈরি করে খেলে এই উপকার পাবেন। পানীয়টি আরও সুস্বাদু এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ করতে এই রেসিপিটিতে আনারস এবং কমলাও যোগ করতে পারেন।
আমলকির জুস
আমলকির জুস ক্ষারীয় প্রকৃতির এবং এটি আমাদের পাচনতন্ত্রকে সহায়তা করে। এটি বিপাককে উন্নত করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই এই জুস নিয়মিত পান করুন এবং একগুঁয়ে পেটের মেদকে বিদায় জানান। কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেলেও এক্ষেত্রে উপকার পাবেন।
৫. বাঁধাকপির জুস
বাঁধাকপি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যা আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগায়। এটি অন্ত্রের উপরের অংশকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং সহজেই শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। বাঁধাকপির জুস আপনার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এটি নিয়মিত পান করলে পেটের মেদ দূর হয়।