পূর্ব লন্ডনের গ্রেটরয়েক্স স্ট্রিটে অবস্থিত মাইক্রো বিজনেস সেন্টার হলরুমে বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক অব্যাহত ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে গনতন্ত্রকে হুমকির সম্মুখিন করায় যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের উদ্যোগে প্রতিবাদ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি জাকের আহমদ চৌধুরী সেমিনারটি পরিচালনা করেন। ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ আল মুনিমের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারিষ্টার আবু বকর মোল্লা। সোমিনারটিতে আরও বক্তব্য রাখেন, অনলাইন এক্টিভিষ্ট ফোরামের সহ-সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সেক্রেটারি শাহান বিন নিজাম, স্টান্ড এন্ড ফর বাংলাদেশের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম মুকুল, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সহ-সেক্রেটারি করিম মিয়া, অনলাইন এক্টিভিষ্ট ফোরামের সেক্রেটারি জামিল হোসেন, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের ট্রেজারার মাহিদ রহমান, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক কাজল, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সহ-ট্রেজারার মোঃ মিফতা উদ্দীন, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেক্রেটারি আহমদ আলী, ইকুয়্যাল রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি নওশিন মুছতারি মিয়া সাহিব, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পাদক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, ইউনিভার্সেলের কালচারাল সেক্রেটারি রায়হান চৌধুরী, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারিয়া আক্তার সুমি, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের মহিলা সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস তনু, মানবাধিকার কর্মী মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বেথনালগ্রিন এবং স্টেপনি আসনের এমপি পদপ্রার্থী আজমল মাসরুর, পিচ ফর বাংলাদেশের ভাইস চেয়্যারম্যান মোঃ মাহিন খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী অলিউল্লাহ নোমান, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন টিপু, ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের উপদেষ্টা মু. আব্দুল আলী, অনলাইন এক্টিভিষ্ট ফোরাম ইউকের সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সাইফুর রহমান পারভেজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিষ্টার আবু বকর মোল্লা বলেন, প্রথমতঃ একটি দেশের মানচিত্র, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব; দ্বিতীয়তঃ ভোটাধিকার ও গনতান্ত্রিক স্বাধীনতা। বাংলাদেশে এই উপাদান গুলো আজ হুমকির সম্মুখিন। উক্ত উপাদান গুলোকে রক্ষা করার পরের স্টেপে আসে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার উল্লেখিত সকল বিষয় গুলোকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আধিপত্যবাদী প্রতিবেশী ও তাদের মনোনিতো বর্তমান আওয়ামী লীগের কারনে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব টিকে থাকবে কিনা সে বিষয়ে তিনি আশঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোঃ মাহিন খান বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ৫৭ জন দেশ প্রেমিক অফিসারকে পিলখানা গনহত্যার মাধ্যমে, স্কাইপ কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে ও মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও গনতন্ত্রকে হত্যা করা হয়ে ছিল। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বিশেষ অতিথি অলিউল্লাহ নোমান বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বকে গোপনে দিল্লির হাতে সমর্পন করেই ক্ষমতায় টিকে আছেন। তাদের সহযোগিতা ও সমর্থনেই বর্তমান বাংলাদেশ সরকার লাগামহীন দূর্নীতি, খুন, গুম ও গনতন্ত্রকে হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল মুনিম বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বুকের উপর দিয়ে আজকে প্রতিবেশী দেশের গাড়ির চাকা, ট্রেনের চাকা চলছে এবং চলবে। আজকে যদি কোরআনের বুলবুলি আল্লাহমা দেলোয়ার হোসাঈন সাঈদী বেঁচে থাকতেন তাহলে আমরা তার কাছ থেকে প্রতিবাদ শুনতাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমতের পক্ষে ফেইজবুকে স্টাটাস দেয়ার কারনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফারহাদকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমতের পক্ষে কথা বলার কারনে বর্তমান সরকার জামায়াত নেতা নিজামী-মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দীন কাদের চৌধুরী সহ অসংখ্য দেশ প্রেমিক নেতাকে প্রহসন মূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে।