• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

নতুনভাবে ভাবিয়েছে, নতুন পথ দেখিয়েছে কথাটি বুঝতে হবে

usbnews
প্রকাশিত আগস্ট ৭, ২০২৪
নতুনভাবে ভাবিয়েছে, নতুন পথ দেখিয়েছে কথাটি বুঝতে হবে
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

দেশের সম্পদ আমাদের সবার । এগুলো ধ্বংস করা যাবেনা।দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘিœত হয় এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা দেশবাসীকে বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। এই বিজয় উৎযাপনে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি কিংবা রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করবেন না। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যারাই এদেশে জন্মগ্রহণ করেছে, তারা সকলেই এদেশের নাগরিক এবং সকলের অধিকার সমান। এখানে আপন সত্তায় সকলেই উজ্জ্বল। কাজেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘিষ্ট এই প্রশ্ন অবান্তর।

অনুগ্রহ করে কারো প্রতি কেউ প্রতিরোধ, প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। কেউ নিজের হাতে আইন কোনোভাবেই তুলে নিবেন না। যাতে একটু ভুলের কারনে আমাদের অর্জিত এই গৌরবজনক বিজয় লক্ষ্যচ্যুত না হয়ে যায়! এই ব্যাপারে সচেতনতার সাথে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য আমরা দেশ ও জাতির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবাদ না ভাই। লুটপাট না ভাই। দেশ আমাদের সবার। রাষ্ট্র পুননির্মাণ আমাদের সবাইকেই করতে হবে। ক্ষোভ আপনাদের ভেতর সেটা সবার জানা। ক্ষোভ থাকবেই এটা স্বাভাবিক।
পুলিশের – অতি উৎসাহী , আইন লঙ্ঘনকারী, প্রকাশ্য- অপ্রকাশ্য নির্যাতনকারী , ধর্মীয় অবমাননাকর মন্তব্যকারী , খুনি সন্ত্রাসীদের মদদদাতা , গণহত্যার সাথে জড়িত, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সকল অপরাধের সাথে জড়িতদের তালিকা  প্রকাশ করতে হবে।তাদের অতীতের পদোন্নতির প্রক্রিয়া যাচাই বাছাই করার জন্য আইনজীবী ,সাবেক আমলা ,সাবেক পুলিশের কর্মকর্তা(যারা বিতর্কিত না ) তাদের দিয়ে এসব দেখা হোক।
আমরা হাতেগোনা কয়েকজন অপরাধী পুলিশের কারণে পুরো বাহিনীকে জাতির কাছে কলংকিত দেখতে চাই না।

ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন হত্যা, লুটতারাজ ও অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের বিরুদ্ধে ছিলো। শিল্প ও কল-কারখানা ধ্বংসের বিরুদ্ধে ছিলো। এখন যদি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে কেউ একই রকম কাজ করেন তাহলে তা স্ববিরোধিতা হয়ে যায়। সেজন্য আমরা বিশ্বাস করি, যারা লুটতরাজ, দখলদারী ও অরাজকতায় লিপ্ত তারা আন্দোলনে সম্পৃক্ত কেউ না। বরং তারা সুযোগ সন্ধানী।

বৃহৎ স্বার্থে সবাই আবেগ ও হিংসার উর্ধে উঠে যার যার অবস্থান থেকে তাদের তালিকা প্রকাশ করে জাতির সামনে নিয়ে আসতে পারেন। জাতি ও দেখুক তারা উপরে উল্লেখ করা অপরাধ করেছে কি না।
পুলিশ বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্যের মধ্যে কয়েকশত দুস্কৃতিকারী অপরাধীদের কারণ পুরো বাহিনীকে আর নষ্ট করবেন না। অপরাধীদের তালিকা পুলিশ বা ক্ষমতাসীনেরা করবে না। এই তালিকা করবে জনগণ। কারণ তাঁরাই দেখেছেন কে ভালো আর কে মন্দ। কে ক্ষমতার সুন্দর ব্যবহার করেছে , আর কে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। সবকিছুর স্বচ্ছতা চাই।
শিক্ষাঙ্গনে যারা উস্কানিদাতা ও মদদদাতা এবং সুবিধা ভোগ করে অপরাধে জড়িত ছিল তাদের নামপদবী সহ প্রকাশ করেন।
বিমানবন্দরে তল্লাশি জোরদার করা হোক। পালানোর পথ যেন বন্ধ থাকে।

আরেকটি কথা -প্রবাসীদের জন্য ২৪ ঘন্টা বিশেষ সেলে কাজ চালু করতে হবে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে ২৪ ঘন্টা উন্মুক্ত সেবা ব্যৱস্থা দ্রুত চালু করতে হবে। একজন প্রবাসী বা তাঁদের পরিবার যেন হয়রানির শিকার না হন। কারণ তাদের অনেক বক্তব্য কর্মকান্ডের কারণে দেশে হয়রানির শিকার হতে পারেন।বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন না করা ব্যক্তির নাম ও ছবি তুলে প্রকাশ্য প্রচার করবেন। কিছু আমলাদের নিয়েও একই কথা।যাঁরা প্রকাশ করতে পারবেন না তাঁরা আমাদের কাছে বিস্তারিত পাঠাতে ও পারেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, বর্ডার, ধর্মীয় উপাসনালয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সকল ব্যাংক, পুলিশ থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ইত্যাদি জায়গায় ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী
এগুলো ধ্বংস করলে তো আপাদের নিজের সম্পদ নষ্ট করার সমান। মনে রাখবেন দেশটা আপনার সম্পদ। রাষ্ট্রের সম্পদ বলে কিছুই নেই , এটা হলো জনগণের সম্পদ। এসবের মালিক সকল বাংলাদেশী। সুন্দর করে সাজানোর জন্য আপনারা সহযোগিতা করেন , নষ্ট করবেন না। দিনশেষে দেশটা কারো বাপদাদার একার না। দেশটি দেশ ও প্রবাসের সকল বাংলাদেশির। আপনাদের বিজয়ের উল্লাস করতে পারেন , এটা আপনাদের অধিকার। কিন্তু উল্লাসের নামে জনগণের সম্পদ নষ্ট করা সঠিক উল্লাস নয়। অনেক কষ্টে আপনারা অর্জন করেছেন , কিন্তু আবেগে নষ্ট করবেন না।
বানোয়াট একটা কথা হলো – অমুকের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি / প্রধান মন্ত্রী নিয়েছেন। মূলত তার ব্যক্তিগত না। সেই দায়িত্ব নেয় জনগণ। কিন্তু এমনভাবে প্রচার করা হয় , যেন মনে তার নিজের বা বাপদাদার সম্পদ থেকে দায়িত্ব নিয়েছে। অতঃএব এসব খরচ হলো রাষ্ট্রের জনগণের টাকা। আপনারা দাবি করতে পারেন যারা পদে বসে নিজের জন্য খরচ করেছে। তার হিসেব রাষ্ট্রের যেকোন নাগরিক চাইতে পারে।

এ কথা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, কিছু পুলিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লোভ, দলকানা কর্মকাণ্ড ও ইউনিফর্ম গায়ে জড়িয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চিত হয়েছে।
সেই প্রবল ক্ষোভের শিকার হচ্ছেন নিরপরাধ ও সাধারণ পুলিশ সদস্যরা।
এখন সময় খারাপ দেখে সুযোগ বুঝে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সটকে পড়েছেন। তাঁরা বিপদের মুখে রেখে গেছেন অসহায় ও নিরপরাধ পুলিশ সদস্যদের।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁরা আজ মানুষের আক্রোশের শিকার হচ্ছেন এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের এমন পরিণতির জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, এটি সবার কাম্য।
কয়েকজন ডিসি এসপি এডিসি এমনকি ডিআইজি পদের লোকদের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিলো – পুরোটাই একজন পাতিনেতারা যা বলে হুবহু। আইন নিয়ম নীতি তাদের কাছে মনে হচ্ছিলো তুচ্ছ। একজন তো সরাসরি ধর্ম অবমাননা করে বক্তব্য দিলো। একজন বললো গুলি করে না মারলে বন্দুক কেন দেয়া হয়েছে। এসব কিছুই এখনো তরতাজা খবরের ছবি সহ আছে। আমরা চাই তাদের আগে গ্রেফতার করেন , তার পর বিচার করেন। তাদের অপরাধের কারণে পুরোবাহিনীকে এখন ঘৃণার বাহিনীতে রুপান্তিরত করা হয়েছে।
এখন বহু থানা পাহারা দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। (বাংলাদেশের মিডিয়াতে এসেছে প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৩: ৪৯)
রাজধানীতে ৫০ টি থানায় পুলিশ নেই। পুলিশ সদর দপ্তরসহ রাজধানী ঢাকার ১৩টি ও ঢাকার বাইরে ৭টি থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। (প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৩: ০০)

মাখন খেয়ে এখন আবার সাধু হবার প্রতিযোগিতা চলছে সব দিকে। মাঠে ময়দানে , অলিতে গলিতে। কারো কারো বৌ ও মত পাল্টাচ্ছে।

আজ ০৭ আগস্ট ২০২৪, দৈনিক যুগান্তরের এই খবরটি আমাকে মোটেও অবাক করে নাই। কারণ ওদের খাসলত জনগণের জানা।
খবরটি হুবহু – প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে ১৬ বছর ধরে যেসব সুবিধাভোগী আমলা ও সাধারণ কর্মচারী নিজেকে আওয়ামীপন্থি হিসাবে জাহির করেছেন, তাদের অনেককে মঙ্গলবার দেখা গেছে ভিন্ন চেহারায়। রাতারাতি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে তারা এখন আওয়ামীবিরোধী সাজার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার অপচেষ্টা করছেন। সোমবার ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের চরম পরিণতি হওয়ার পর মঙ্গলবার সচিবালয়ে এমন চেহারা দেখা যায়। সকাল থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি কর্মকর্তারা দলে দলে শোডাউন দেওয়া শুরু করেন। আর তাদের সঙ্গে শামিল হতে থাকেন এসব সুবিধাভোগী বর্ণচোরা গোষ্ঠী।

বিবাদ না ভাই। লুটপাট না ভাই। দেশ আমাদের সবার। রাষ্ট্র পুননির্মাণ আমাদের সবাইকেই করতে হবে।
ক্ষোভ আপনাদের ভেতর সেটা সবার জানা। ক্ষোভ থাকবেই এটা স্বাভাবিক।
পুলিশের -অতি উৎসাহী , আইন লঙ্ঘনকারী, প্রকাশ্য- অপ্রকাশ্য নির্যাতনকারী , ধর্মীয় অবমাননাকর মন্তব্যকারী , খুনি সন্ত্রাসীদের মদদদাতা , গণহত্যার সাথে জড়িত, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সকল অপরাধের সাথে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের অতীতের পদোন্নতির প্রক্রিয়া যাচাই বাছাই করার জন্য আইনজীবী ,সাবেক আমলা ,সাবেক পুলিশের কর্মকর্তা
(যারা বিতর্কিত না ) তাদের দিয়ে এসব দেখা হোক।আমরা হাতেগোনা কয়েকজন অপরাধী পুলিশের কারণে পুরো বাহিনীকে জাতির কাছে কলংকিত দেখতে চাই না।
বৃহৎ স্বার্থে সবাই আবেগ ও হিংসার উর্ধে উঠে যার যার অবস্থান থেকে তাদের তালিকা প্রকাশ করে জাতির সামনে নিয়ে আসতে পারেন। জাতি ও দেখুক তারা উপরে উল্লেখ করা অপরাধ করেছে কি না।
পুলিশ বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্যের মধ্যে কয়েকশত দুস্কৃতিকারী অপরাধীদের কারণ পুরো বাহিনীকে আর নষ্ট করবেন না। অপরাধীদের তালিকা পুলিশ বা ক্ষমতাসীনেরা করবে না। এই তালিকা করবে জনগণ। কারণ তাঁরাই দেখেছেন কে ভালো আর কে মন্দ। কে ক্ষমতার সুন্দর ব্যবহার করেছে , আর কে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। সবকিছুর স্বচ্ছতা চাই।
শিক্ষাঙ্গনে যারা উস্কানিদাতা ও মদদদাতা এবং সুবিধা ভোগ করে অপরাধে জড়িত ছিল তাদের নামপদবী সহ প্রকাশ করেন। বিমানবন্দরে তল্লাশি জোরদার করা হোক। পালানোর পথ যেন বন্ধ থাকে। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের কাজ করছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মন্দির–মণ্ডপ পাহারা দিচ্ছে। মহল্লার লোকেরা দল বেঁধে রাস্তা পাহারায় বেরিয়ে পড়েছে।
কিন্তু অনেক থানায় পুলিশ নেই। আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী কিছু কিছু দায়িত্ব নিয়েছে আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধ করতে।
আরেকটি কথা –
প্রবাসীদের জন্য ২৪ ঘন্টা বিশেষ সেলে কাজ চালু করতে হবে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে ২৪ ঘন্টা উন্মুক্ত সেবা ব্যৱস্থা দ্রুত চালু করতে হবে। একজন প্রবাসী বা তাঁদের পরিবার যেন হয়রানির শিকার না হন। কারণ তাদের অনেক বক্তব্য কর্মকান্ডের কারণে দেশে হয়রানির শিকার হতে পারেন।
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন না করা ব্যক্তির নাম ও ছবি তুলে প্রকাশ্য প্রচার করবেন।
কিছু আমলাদের নিয়েও একই কথা।
যাঁরা প্রকাশ করতে পারবেন না তাঁরা আমাদের কাছে বিস্তারিত পাঠাতে ও পারেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, বর্ডার, ধর্মীয় উপাসনালয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সকল ব্যাংক, পুলিশ থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ইত্যাদি জায়গায় ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী