• ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আমিনুর রহমানকে হত্যাসহ আরো ৭জনকে গুলি করার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার ও এএসপিসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

usbnews
প্রকাশিত আগস্ট ১৯, ২০২৪
আমিনুর রহমানকে হত্যাসহ আরো ৭জনকে গুলি করার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার ও এএসপিসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালিন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন ওসি মোঃ ইনামুল হকসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধ আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরার আমলি আদালত-১ এ  মামলাটি দায়ের করেন কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল মামলাটি তদন্ত সপেক্ষে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরের একটি মেসে তৎকালি ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারী আমিনুর রহমানকে হত্যাসহ আরো ৭জনকে গুলি করার অভিযোগে এ মামলাটি তিনি দায়ের করেন।

সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার ও এএসপিসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরের একটি মেসে পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোঃ ইনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনার নামে তৎকালিন ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারী আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় মেসে থাকা আরো ৭ জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে।

এ মামলার এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা এস. এম ইউসুফ সুলতান, ডিবি সদস্য আলি হোসেন, কামালনগর মোকছেদ সরদারের ছেলে মো. বাবর আলী, পুলিশের এসআই আবুল কাশেম , এসআই হুমায়ূন কবীর, এসআই বিধান কুমার বিশ্বাস, এসআই ইয়াছিন আলী, এএসআই লিটন বিশ্বাস, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম (কং-১৪৫), বেলায়েত হোসেন (কং-৫৬৭), জিল্লুর রহমান (কং-৬২৫), বাবুল হোসেন (কং-৭৭১), ফারুখ হোসেন (কং-২৩৪), শেখ আলম (কং-১৯৭), এসআই আব্দুল হান্নান, এসআই হান্নান শরীফ, এস.আই আবুজার গিফারী, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (কং-৭৪৪), রাসেল মাহমুদ (কং-৭৯৭), ওমর ফারুক (কং-১৬০), আব্দুর রহমান (কং-২৮৭), আবিদুর রহমান (কং-৪৭৩), আসাদুজ্জামান (কং-৪৭০), বদরুল আলম (কং-২০০)।

বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট এ.টি.এম বাসারুতুল্লাহ আওরঙ্গী বাবলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ হওয়ায় মামলাটি দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এমামলা দায়েরের সময় তার সহযোগি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান।