নওমুসলিমদের অধিকার দিতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার আরো কিছু উদাহরণ-
১) ২০১০ সাল: ঝিনাইদহ জেলায় আবদুল্লাহ (২৮) নামের এক নওমুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা।
(https://bit.ly/3lvsOj5)
২) ২০১৩ সাল: খুলনায় নওমুসলিম সাইফুল হত্যায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
৩) ২০১৫ সাল: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নওমুসলিম খাদিজাতুল কোবরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন, তার মৃত্যুর সাথে ডাক্তার পবিত্র কুণ্ডু ও নার্স কাকতী রানী বলের যোগসূত্র আছে। (
https://bit.ly/2YBV0qk,
https://bit.ly/2G3qKyo)
৪) ২০১৭ সাল : সীতাকুণ্ডে নওমুসলিম সেলুনকর্মী খুন
৫) ২০১৭ সাল: নওগার নিয়ামতপুরে ফাতেমা খাতুন নামক নওমুসলিম নারীকে হত্যা করে হিন্দুরা।
৭) ২০১৮ সাল: সিলেটের বিশ্বনাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় আব্দুল্লাহ মাসউদ নামক এক নওমুসলিম যুবককে হত্যার হুমকি দেয় তার পরিবারের লোকজনই। (
https://bit.ly/31vlxYu)
৮) ২০১৮ সাল: ইশরাত জাহান নামক এক নওমুসলিম মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়। (
https://bit.ly/31vlQT8)
৯) ২০১৯ সাল: মিডিয়ায় খবর আসে, কুমিল্লার লাকসামে জান্নাতুল ফেরদাউস নামক এক নওমুসলিম নারীর স্বামীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারই পরিবারের হিন্দু সদস্যরা। (
https://bit.ly/3jmpViG)
১০) ২০২০ সাল: ঠাকুরগাওয়ে মুসফিকা বেগম নামক এক নওমুসলিম নারীকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন।
১১) ২০২০ সাল: চট্টগ্রাম আদালত চত্বর থেকে এক সুমিষ্টা রায় ওরফে ফাহিমা জান্নাত নামক এক নওমুসলিম নারীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরো উল্লেখ্য বর্তমানে পার্শ্ববর্তী ভারতে নওমুসলিম বিরোধী আইন তৈরী হয়েছে। এ আইনে কোন ধর্মান্তরিত নারীকে বিয়ে করলে মুসলিম যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়। এমনকি কোন নওমুসলিম নারী মুসলিম যুবকের সন্তান গর্ভে ধারণ করলে পুলিশ তার গর্ভপাত করিয়ে দেয়।
আমরা এখনও বিশ্বাস করি- বাংলাদেশ ভারত হয়ে যায়নি।
বাংলাদেশে এখনও সকল জনগণের অধিকার পাওয়ার অধিকার আছে।
তারপরও কেন বাংলাদেশের নওমুসলিমের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে ?
কেন তাদের হত্যা করা হচ্ছে, অপহরণ করা হচ্ছে, হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
যারা প্রকাশ্যে তাদের হুমকি দেয় কেন তাদের গ্রেফতার করা হয় না ?
রাষ্ট্র কেন নওমুসলিমদের সাংবিধানিক অধিকারের ব্যাপারে নির্বিকার ?
নওমুসলিমদের অধিকার দিতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। আস্তিক নাস্তিক সবার বিষয় যারা স্বেচ্ছায় চিৎকার করে , তারা কিন্তু নওমুসলিমদের পক্ষে চুপ। টকশোতে বিষয়টি থেকেই না। খবরের কাগজে হয়তো মাত্র একদিন। সংখ্যা লঘু বলতে কিছু নাই। রাষ্ট্রের নাগরিক সবাই। হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান সবাই দেশের নাগরিক। সংখ্যা লগু আলগা পিরিতের ভণ্ডামি দেখানো কথিত সুশীল গুষ্টি নওমুসলিমদের অধিকার নিয়ে একটি শব্দও করে না।