• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বৈদেশিক ঋণ চুক্তি খতিয়ে দেখা হবে : শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি

usbnews
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
বৈদেশিক ঋণ চুক্তি খতিয়ে দেখা হবে : শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বৈদেশিক ঋণের চুক্তি খতিয়ে দেখবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের নাজিয়া সালমা সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. জাহিদ হোসেন, ড. সেলিম রায়হান ও ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, বৈঠকে আমরা ঠিক করলাম কোন সদস্য কী বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের ইস্যুগুলো নিয়ে আমরা ঢাকা, ঢাকার বাইরে এবং বিদেশেও যারা বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই কার্যক্রম গুছিয়ে আনা হবে। তিনি জানান, খাতওয়ারি যেমন জ্বালানি, প্রাতিষ্ঠানিক, ব্যাংক, রাজস্ব খাত, অর্থ পাচার, বৈষম্য ও দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন বিষয় সদস্যদের মধ্যে শেয়ার করা হবে।

অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে কৌশলগত উদ্যোগ নেওয়ার অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন—ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. কাজী ইকবাল ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম তামিম।

এছাড়া রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শারমিন্দ নীলোর্মি, রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা তাসনিম সিদ্দিকী ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

শ্বেতপত্র কী ?

শ্বেতপত্রের ধারণাটি এসেছে যুক্তরাজ্যের সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে।”সরকারের দ্বারা প্রকাশিত কোনো নীতিগত নথি যেখানে সংসদীয় প্রস্তাবনা থাকে, সেগুলোই শ্বেতপত্র,” যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এভাবেই শ্বেতপত্রের বর্ণনা দেয়া আছে।এর ফলে, অধিকতর আলাপ-আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়।

অর্থনীতি ও বিনিয়োগ বিষয়ক জ্ঞানকোষ ইনভেস্টোপিডিয়া থেকে জানা যাচ্ছে, উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনে পার্লামেন্ট রিপোর্টের প্রচ্ছদ থাকতো নীল রঙের। যদি রিপোর্টের বিষয়বস্তু সরকারের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ হতো নীল প্রচ্ছদ বাদ দিয়ে সাদা প্রচ্ছদেই সেগুলো প্রকাশ করা হতো। সেই রিপোর্টগুলোকে বলা হতো হোয়াইট পেপারস্।

তবে, আগে “বাংলাদেশে এ প্রথার প্রচলন সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী” দেখা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় জ্ঞান কোষ বাংলাপিডিয়ায়।