টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ দলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও। সন্ধ্যায় পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আবারও অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয় করায় বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিজয়ের মাসে আন্তর্জাতিক বিজয়ের জন্য গর্বিত জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছে প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তা তা তথ্য জানানো হয়। অভিনন্দন বার্তায় এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং ভবিষ্যতেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এই সাফল্যে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অভিনন্দন বার্তায় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে এবং বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভারত। বাংলাদেশ ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়। জবাবে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোণঠাসা হয়ে যায় ভারত। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে ভারত অলআউট হলে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশের যুবারা। ২০২৩ সালে এই স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলদেশ।
ভারতকে হারিয়ে অধিনায়ক বললেন , বাংলাদেশের সব মানুষকে ধন্যবাদ
অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পাঁচ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি আর দুই হাফ সেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ২৪০ রান । ওপেনার কালাম সিদ্দিকীও ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন। ১৬২ রান করেছেন এই ওপেনার। রান পেয়েছেন আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও। পাঁচ ম্যাচে ১২০ রান করেছেন জাওয়াদ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের গতকালের ফাইনালে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনজনের কেউ। জাওয়াদ ৩৫ বলে ২০ রান করেন, কালাম ১৬ বল খেলে আউট হন ১ রানে আর অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম একটি করে চার ও ছয়ে করেন ২৮ বলে ১৬ রান। তবে মিডল অর্ডারের কল্যাণে ১৯৮ রানের মামুলি এক সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তবে এই রান করেও জয়ের কথা ভেবেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শিরোপা জয়ের পর পুরস্কার মঞ্চে তিনি বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ জিতবে। বোলারদের ওপর বিশ্বাস ছিল। মাঠে তারা আমার আস্থার প্রতিদান দিয়েছে।’ ভারতের ব্যাটারদের বিপক্ষে পরিকল্পনা আসলে কী ছিল বাংলাদেশের অধিনায়কের এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘ভারতের ব্যাটাররা অফসাইডে একটু লড়াই করছিল। বিশেষ করে চতুর্থ বা পঞ্চম স্টাম্প বরাবর বলে। পরিকল্পনা ছিল, অফসাইডে বোলিং করে তাদের ঝামেলায় ফেলা।’ আনন্দের এই দিনে দেশের মানুষের উদ্দেশে, বিশেষ করে দুবাইয়ে মাঠে গিয়ে যারা দলকে সমর্থন করেছেন; তাদের উদ্দেশে কী বলবেন এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের সব সমর্থক এবং বাংলাদেশের সব মানুষকে ধন্যবাদ।’